পূর্ণাঙ্গ তদন্ত তো বটেই , নৈহাটিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফের রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপালের বক্তব্য, এই ঘটনা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে চোখ খুলে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। একমাত্র বিশেষজ্ঞরা যদি তদন্ত করেন, তাহলেই আসল ঘটনা জানা যাবে।
কয়েকদিন আগে নৈহাটির মামুদপুরের দেবক এলাকায় একটি বাজি কারখানা ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ৫ জন। ওই কারখানায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর বাজি বাজেয়াপ্ত করে নৈহাটি থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে যখন ছাইঘাটের কাছে গঙ্গার পাড়ে বাজি নিষ্ক্রিয় করার কাজ চলছিল, তখন বিস্ফোরণে বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। আশেপাশে বেশ কয়েকটি বাড়ির কাঁচের জানলা, দরজা ভেঙে যায়। এমনকী, বিস্ফোরণের অভিঘাত পৌঁছে যায় গঙ্গার ওপারে চুঁচুড়ায়ও! সেখানেও বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতি হয়। ঘটনার পর পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িও। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন খোদ চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর।
নৈহাটিতে বিস্ফোরণে যাঁদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'বিধায়ক পার্থ ভৌমিক ও জেলাশাসককে এলাকা যেতে বলেছি। ক্ষয়ক্ষতি পূরণ দেখে সকলেই ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার।' এদিকে এই ঘটনায় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধীরা।