স্বাস্থ্য় নিয়ে রাজনীতি উচিত নয়, ফের রাজ্য়-রাজ্যপাল সংঘাত

  • রাজ্য সরকারের প্রতি রাজ্যপালের প্রশ্ন
  • কেন রাজ্যে আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু হচ্ছে না
  • ৩ মাসে ৩ হাজার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সাহায্যের আবেদন এসেছে
  • এর থেকেই স্পষ্ট রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কী অবস্থা
     

Asianet News Bangla | Published : Nov 7, 2019 12:00 PM IST / Updated: Nov 07 2019, 05:31 PM IST

ইতি পড়ছে না রাজ্য়-রাজ্য়পাল  সংঘাতে। নিত্যদিন রাজ্য সরকারের ঘোষিত নীতির সামালোচনা করছেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়। যার জেরে শাসক দলের  চক্ষুশূল হচ্ছেন রাজ্য়ের সাংবিধানিক প্রধান।

যাদবপুর  বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে শুরু। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করতে গিয়ে তৃণমূলের রোষে পড়েছিলেন রাজ্যপাল। সেবার যাদবপুরে বাবুলকে উদ্ধার করতে যাওয়ায় মুখ খুলেছিলেন  তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।  যার রেশ থামছে না এখনও। প্রতিদিনই রাজ্য সরকারের সামেলাচনা করে বিরাগভাজন হচ্ছেন জগদীপ ধনখড়। রাজ্য সরকারের সমালোচনায় তাঁর নতুন সংযোজন স্বাস্থ্য় নিয়ে রাজনীতি। এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের আযুষ্মান ভারত প্রকল্প কেন রাজ্য় সরকার গ্রহণ করেনি তা নিয়ে প্রস্ন তোলেন রাজ্য়পাল। তিনি বলেন, 'এখানে সবকিছু নিয়ে রাজনীতি হয়। স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়'।

রাজ্য সরকারের প্রতি রাজ্যপালের প্রশ্ন,'কেন রাজ্যে আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু হচ্ছে না? গত ৩ মাসে প্রায় ৩ হাজার  স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সাহায্য চেয়ে আবেদন এসেছে রাজভবনে।  এর থেকেই স্পষ্ট রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কী অবস্থা। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখা উচিত।' ২০১৮-১৯ সালে আয়ুষ্মান স্বাস্থ্য় বিমা  যোজনার ঘোষণা করে মোদী সরকার। সমাজের আর্থিক ভাবে দুর্বল শ্রেণিকে এই বিমা যোজনায় আনতে চেয়েছে মোদী সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্য়েম নির্দিষ্ট পরিবারগুলো ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য়বিমা পাবে। নিয়ম অনুসারে কেন্দ্রীয় সরকার বিমার টাকার ৬০ শতাংশ ও রাজ্য়  সরকার ৪০ শতাংশ টাকা দেবে। 

তবে পশ্চিমবঙ্গে আয়ুষ্মান প্রকল্প ঢুকতে দেয়নি মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সরকার। পোস্ট অফিস থেকে আয়ুষ্মান প্রকল্পের কার্ড বিলি জোর করে আটকে দেওয়া হয়। য়া নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে পৌঁছয়। বিজেপির তরফে বলা হয়, সাধারণ মানুষের স্বার্থে মোদী সরকারের আয়ুষ্মান যোজনাকে রাজ্য়ে ঢুকতে না দিয়ে রাজনীতি করছেন মুখ্য়মন্ত্রী। এদিন একই সুর শোনা গেল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের মুখে।    

Share this article
click me!