লোকমুখে পরিচিত এখানে নাকি 'তেনাদের' সন্ধান মেলে, কলকাতার বুকে কিছু ভুতুড়ে ঠিকানা

  • ভুতুড়ে ঠিকানা নিয়ে গল্প-কাহিনি-র অভাব নেই
  • কলকাতার বুকেও এমন কিছু ঠিকানা রয়েছে 
  • যা নিয়ে দশকের পর দশক গল্প হয়ে আসছে
  • এমন কিছু ভুতুড়ে ঠিকানার সন্ধান রইল এখানে

debojyoti AN | Published : Oct 24, 2019 4:11 PM IST / Updated: Jan 20 2020, 10:01 AM IST

ভূত দেখার সাধ থাকে অনেকের মনেই কিন্তু তাঁদের দেখা পাওয়া কি অত সহজ। তবু-ও তাঁদের নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। কলকাতা শহরের বুকেও এই ভূতেদের নিয়ে বেশকিছু কথকথা রয়েছে। এই সব কাহিনি নিয়ে যেমন লেখালেখি হয়েছে প্রচুর তেমনি ভুতুড়ে কাহিনির রোমান্টিসিজমেও বেশ ইন্ধন জুগিয়েছে। এমনকিছু ভুতুড়ে ঠিকানার হদিশ দেওয়া হল এখানে। কিছু মানুষের বিশ্বাস এই সব স্থানে 'তেনাদের' দেখা মিলতে পারে।

হেস্টিংস হাউস: হেস্টিংস হাউস নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলে থাকেন। গুগল করলেও হন্টেট প্লেস বলে এই জায়গার নাম সবার আগে দেখা যাবে। সেখানে গিয়ে বহুবার বহু মানুষের অদ্ভূত কিছু অনুভূতি হয়েছে। আলিপুরের অন্যতম পুরনো এই স্থাপত্যটি ছিল গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংসের বাসস্থান। আর সেই কারণেই এটি হেস্টিংস হাউস নামে পরিচিত। এখন এটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত মহিলাদের কলেজ। সেখানকার ছাত্রীদের মুখে থেকেই শোনা যায়, সেখানকার সমস্ত ভুতুড়ে কাণ্ড-কারখানার কথা। অনেকেই নাকি ঘোড়ায় চড়ে এক সাহেবকে ঢুকতে দেখেছে সেখানে। অথচ তার পরে সেই সাহেবেকে আর খুঁজে পাওয়া যাইনি। সবাই মনে করে এখনও নাকি হেস্টিং সাহেব সেই বাড়িতেই থাকেন। তিনিই ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে সেখানে আসে। কেউ কেউ আবার মনে করে এক ফুটবল প্রেমীর আত্মা রয়েছে এই বাড়িতে। ওই যুবক নাকি ফুটবল খেলতে গিয়ে মারা গিয়েছিল সেখানে, তার পর থেকে সে সেখানেই থাকে। এই রকম বহু কাহিনি আছে হেস্টিংস হাউসকে ঘিরে। আর সেই সব উপলব্ধি করতে হলে এই দিনে যেতে পারেন হেস্টিংস হাইসে।

মল্লিকঘাট: হাওড়া ব্রিজের ঠিক নিচেই এই গঙ্গা তীরবর্তী এই ঘাট। এই মল্লিক ঘাট ফুল বাজারের সামনেই। শোনা যায় সেখানে নাকি ভূতের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়। যারা সেখানে দৈনিক যাতায়াত করেন তাঁরা একবার না একবার ভূতুরে ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন। সেখানে নাকি একজন মহিলা ভূতকে দেখতে পাওয়া যায়। সেই মহিলাকে সাদা শাড়ি পরে ঘুড়তে দেখেছেন অনেকেই। তাঁদের ধারণা, গঙ্গায় ডুবে কোনও মহিলার মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর আত্মাই এখন ঘুরে বেড়ায় সেখানে। তাই এমন এক মহিলা ভূতের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ মিস করতে না চাইলে এখানে অবশ্যই যেতে হবে।

নিমতলা শ্মশানঘাট: শ্মশান মানে যে সেখানে ভূতের দেখা পাওয়া যাবে এটাই খুব স্বভাবিক আর তেমনটাই হয় কলকাতার বিখ্যাত নিমতলা শ্মশানঘাটে। অমবস্যার রাত এলেই নাকি সেখানে ভূতুরে কান্ড শুরু হয়ে যায়। তারপর ষদি হয় ভূত চতুর্দশীর দিনে তাহলে তো আর কথাই নেই। এমনিতেই এবারে ভূত চতুর্দশী পড়েছে শনিবারে সেখানে কত রকমের অলৌকিক ঘটনা ঘটে। তবে এটাই স্বাভাবিক বলে মনে করেন সেখানকার স্থানীয় লোকজন। 

লোয়ার সার্কুলার রোডের কবরস্থান: লোয়ার সার্কুলার রোডের এই কবরস্থান বহু বছরের পুরোন। এখানে আছে বহু বিখ্যাত মানুষের কবর। এই কবরস্থানেই আছে স্যার উইলিয়াম হে ম্যাকনটন -এর কবরও। প্রথম ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধে তিনি নিহত হয়েছিলেন। আফগানিস্তান থেকে তাঁর মরদেহ কলকাতায় এনে তাঁর স্ত্রী তাঁকে সমাধিস্থ করে এখানেই। শোনা যায় উইলিয়াম সাহেবের এই সমাধির কাছে গেলেই নাকি কবরের সামনে ছায়াদানকারী গাছটি কাঁপতে থাকে। বহু বার এমনটা অনুভব করেছেন বহু মানুষ। এছাড়াও কবর স্থানে বহু মানুষের সমাধি থাকার কারণে সেখানে গেলে ভূত দেখতে পাওয়া যায় অনেক সময়েই। তাই চটপট বেছে নিন কলকাতার কোন ভূতুরে ডেস্টিনেশন বেছে নেবেন আজ।

Share this article
click me!