'কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া রাজ্যে হিংসা ও সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন করা সম্ভব নয়', বাংলার বকেয়া পুরভোটের আগে দাবি জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
'কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া রাজ্যে হিংসা ও সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন করা সম্ভব নয়', বাংলার বকেয়া পুরভোটের আগে দাবি জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রবিবার রাজ্যপালের পর এবার পুরভোটের ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (BJP Leader Sukanta Majumder) ।
এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেছেন,' রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের উপর ক্রমাগত প্রাণঘাতী হামলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৫০ জনের বেশি কর্মী শাসকদলের হাতে খুন হয়েছেন। তাই রাজ্যে হিংসা ও সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া সম্ভব নয়।' এভাবেই হাওড়া সদর বিজেপির জেলা অফিসে বসে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, 'গোটা রাজ্যে বহু বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলা হয়েছে। যার দরুন ওই কর্মীরাও শঙ্কিত। এটা হওয়াটা স্বাভাবিক।' প্রসঙ্গত, রবিবার কলকাতায় পুরভোট চলাকালীন একাধিক বুথের সামনে ঝামেলা হয়, বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। অসংখ্য বুথে ছাপ্পা রিগিংয়ের অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে একটি বুথের ইভিএম কারচুপির সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। কলকাতা পুরভোটে অশান্তির ঘটনার ছবি, ভিডিও সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এসবের পর শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের সঙ্গে ঘন্টা খানেকের বৈঠকও করেন রাজ্যপাল। পুরভোটের অশান্তি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ধনখড়। এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি বকেয়া পুরভোট যাতে অবাধ এবং সুষ্ঠভাবে হয়, তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয়বাহিনীকে আনার পরামর্শও দেন রাজ্যপাল।
পুরভোটের আগে প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়ে এসেছিল বিজেপি। কিন্তু তা নিয়ে মামলা হলেও শেষ অবধি কমিশনের যুক্তি শুনে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য পুলিশের উপরেই ভরসা করে। এদিকে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গেরুয়া শিবির। রবিবার পুরভোট হওয়ার আগের দিন দুপুরেও সুপ্রিম কোর্টে শেষ চেষ্টা চালায় কেন্দ্রীয়বাহিনী আনার জন্য বিজেপি। তবে শেষ অবধি তা আর হয়নি। এদিকে রাজ্য পুলিশের দায়িত্বে ভোট হতেই একাধিক অভিযোগ উঠতেই ফের কথা বলার সুযোগ পেল বিজেপি। পাশাপাশি কমিশনকে দেওয়া রাজ্য়াপালের পরামর্শের পর আরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে অনঢ় সুকান্ত মজুমদার তথা রাজ্য বিজেপি। অপরদিকে, হাওড়া সংশোধনী বিলে রাজ্যপালের সই না করার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে বলেন,' যিনি এই রাজ্যের রাজ্যপালের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি দেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ আইনজীবী। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর থেকে আইন ও সংবিধান ভালো বোঝেন। সংবিধান রাজ্যপালকে যে সাংবিধানিক ক্ষমতা দিয়েছে তিনি সেই অধিকার অনুযায়ী কাজ করছেন।'