ফের রাজ্য় সরকারের পাশাপাশি বুদ্ধিজীবীদের একাহত ধনখড়ের। এবার যাদবপুরের ছাত্রদের ওপর পুলিশি লাঠিচার্জ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। টুইটে রাজ্য়পাল বলেন, কেন যাদবপুরে ছাত্রদের ওপর 'লাঠিচার্জ নিয়ে' সরব হচ্ছেন না সবাই।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিংসা ও অরাজকতা মেনে নেওয়া হবে না । জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলায় প্রতিবাদে তাই পথে নামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ৷ সেই প্রসঙ্গে টুইটে সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । যাদবপুরে ছাত্রদের ওপর পুলিশের অবস্থান নিয়ে কর্তৃপক্ষের ভূমিকার সমালোচনা করেন তিনি। জেইউ-এ হামলা ও তার প্রতিবাদ প্রসঙ্গে টুইট করেন জগদীপ ধনকড় । টুইটে তিনি লেখেন, 'শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিংসা ও অরাজকতা মেনে নেওয়া হবে না । গতকাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের একাংশ চুপ । অথচ তাঁরা জেএনইউ নিয়ে সরব হয়েছিলেন । এই বিষয়টি দুঃখজনক ও নিন্দার ।'
এই বলেই চুপ থাকেননি তিনি। এ বিষয়ে রাজ্যের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি । টুইটে রাজ্য়পাল লেখেন, 'রাজ্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষ্ক্রিয়তায় ও বিভ্রান্তিতে উপাচার্যের অবস্থানে আপোস করতে হয়েছে । যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গতরাতের ঘটনায় কেন সবাই চুপ, হিংসার ক্ষেত্রেও কেন পক্ষপাতিত্ব হচ্ছে । বাড়িতে আগুন লাগলে সেটাই প্রথম প্রাধান্য পাওয়া উচিত । '
সোমবার অনুপম হাজরার নেতৃত্বে বাঘাযতীন থেকে যাদবপুর থানার উদ্দেশ্যে একটি মিছিল শুরু হয়। পরে সুলেখা মোড়ে এলে আটকে দেওয়া হয় সেই মিছিল। অপরদিক থেকে এসএফআই এবং যাদবপুরের পড়ুয়াদের একটি মিছিল সুলেখার দিকে আসে। সেখানেও পুলিসের ব্য়ারিকেডে আটকানো হয় মিছিল। ফলে সন্ধে সাতটার দিকে সিপিএম ও যাদবপুরের ছাত্র ছাত্রীদের মুখোমুখি হয় গেরুয়া বাহিনী।
মিছিল শেষ হয়ে হলেও বিজেপির লোকজনকে রাস্তায় দেখে দ্রুত মাইকিং করে চলে যেতে বলে পুলিশ। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দিতে থাকে বিজেপির নেতাকর্মীরা। সেসময় পুলিশ পেরিয়ে বিজেপির দিকে যেতে চায় পড়ুয়ারা। তখনই পুলিসের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধ্বস্তি বাঁধে। ছাত্রদের অভিযোগ , এরপরই তাদের লাঠিচার্জ করে পুলিশ । যদিও পরে পুলিশের এক আধিকারিক এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চান। তিনি বলেন,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে পুলিসের সঙ্গে ছাত্রদের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এই ঘটনার জন্য় তারা দুঃখিত। এরপরই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ফেসবুকে সরব হন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়।