শহরে আত্মঘাতী মেধাবী ছাত্র। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম সুজন সামন্ত। বছর উনিশের সুজন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের প্রথমবর্ষের ছাত্র ছিলেন। জানা গেছে বাবার সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলে হস্টেলের ন'তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন ওই ছাত্র।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সুজন বেশ কয়েকমাস ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল। হস্টেলের এক দিকে মাটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখেন ছাত্ররা। বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
ছেলে মানসিক অবসাদে ভুগছিল, সেকথা নিজেই পুলিশকে জানিয়েছেন সুজনের বাবা। মৃত্যুর আগে বাবাকে ভিডিও কলও করে ওই কিশোর। তখনই বাবাকে আত্মহত্যার কথা জানায় ছাত্রটি। ছেলে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে তা আঁচ করতে পেরেছিলেন সুজনের বাবা। কিন্তু এত চরম পরিণতির কথা ভাবতে পারেননি তিনি।
কেন সুজন মানসিক অবসাদে ভুগছিলো তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। বরাবরই পড়াশোনায় ভাল ছাত্র ছিল সুজন। ভাল ফল করেই যাদবপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পায় সে। পড়াশোনা সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে তার মধ্যে অবসাদ তৈরি হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তবে পরিবার সূত্রে জানা গেছে যাদবপুরে পড়তে আসার পর থেকেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল সুজন। আগে দু'বার আত্মহত্যার চেষ্টাও করে সে, কিন্তু র্ব্যথ হয়। এবিষয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে বোঝালেও তাতে কোন লাভা হয়নি।