মমতা ক্ষমা না চাইলে এবার বুঝে নেবেন জুনিয়র ডাক্তাররাও। 'এরা জুনিয়র ডাক্তার নন, এরা বহিরাগত। কাজে যোগ না দিলে বুঝে নেবো।' এই ভাষাতেই ধমকে গিয়েছেন মমতা। সময়ও বেধে দিয়েছেন কর্মবিরতি ভাঙার। এই হুমকিতে হিতে বিপরীত হল, এমনটাই মনে করছেন বরিষ্ঠ চিকিৎসকমহল।
রাজ্য জুড়ে চারদিন ধরে চলতে থাকা দুরবস্থার হাল ধরতে চেয়ে এদিন আসরে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএম থেকে বলেন , হাসপাতালে কোনও বহিরাগত থাকবে না। ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করা হবে। কাজে যোগ না দিলে ডাক্তাররা হোস্টেল ছেড়ে দিন।' আসে আইনানুগ ব্য়বস্থা নেওয়ার হুমকিও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলে গেলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা। রোষের আগুন ছড়াতে থাকে সব হাসপাতালে। এসএসকএম হাসপাতালের জেনারেল বডি দাবি করছে, বরং ক্ষমা চাইতে হবে মমতাকেই।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরাও অবস্থানে অনড় রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রর দাবি, 'আন্দোলন তুলছি না। পুলিশ বাহিনী রয়েছে এখানে আমাদের চলে যেতে বললে চলে যাব।' প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোশিয়েসান। এইমস থেকেও বিরোধিতা করা হয়েছে এই ঘটনার। আগামীকাল ধর্মঘট ডেকেছে এইমস।