এই পুরভোটকে ভোট বলে মানতেই নারাজ বিজেপি। আর সেই কারণে একাধিক অভিযোগ তুলেছে তারা। তা নিয়ে আলাদতের দ্বারস্থও হয়েছে। তাই মেয়র কে হলেন তা নিয়ে তাঁদের কোনও চিন্তা নেই বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।
মঙ্গলবারই কলকাতা পুরভোটের ফলপ্রকাশ (KMC Election Result) হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার কলকাতার পরবর্তী মেয়রের (Next Mayor of Kolkata) নাম ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফিরহাদ হাকিমকেই (Firhad Hakim) ফের ওই পদে বসানো হয়েছে। আর ডেপুটি মেয়র (Deputy Mayor) হয়েছেন অতীন ঘোষ (Atin Ghosh)। মালা রায় চেয়ারপার্সন। মেয়রের নাম ঘোষণার পরই সব জয়ী কাউন্সিলরদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। পাশাপাশি পুরভোটের জয়ের কৃতিত্ব শহরবাসীকে দিয়ে তিনি বলেন, 'এবার সেরার সেরা হবে কলকাতা। নতুন পুরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যাবে প্রিয় শহরকে।' অবশ্য এই পুরভোটকে ভোট বলে মানতেই নারাজ বিজেপি (BJP)। আর সেই কারণে একাধিক অভিযোগ তুলেছে তারা। তা নিয়ে আলাদতের দ্বারস্থও হয়েছে। তাই মেয়র কে হলেন তা নিয়ে তাঁদের কোনও চিন্তা নেই বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শমীক বলেন, "আগে লন্ডন করবেন বলেছিলেন। বেহালা ভেনিস দেখেছে। এখন সেরার সেরা শুনছি। এই ভোটকে আমরা নির্বাচন হিসেবে গণ্য করছি না। তাই কে মেয়র হলেন, তা নিয়ে আমাদের কোনও চিন্তা নেই। ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও আমরা সব আসন পেতাম না। কিন্তু, এতে প্রকৃত মূল্যায়ণ হয়নি। আর ফিরহাদ হাকিমের মেয়র থাকাকালীন আমফানে দুর্দশা, জল জমা দেখেছি। তাই পৌরনিগম তার মতোই চলবে। ব্যক্তি ফিরহাদের বিরোধ নেই। বিরুদ্ধে বক্তব্য নেই। মেয়র করার পদ্ধতি এবং মিনি পাকিস্তান মন্তব্যে আমাদের বিরোধ ছিল। আমাদের ফিরহাদ নিয়ে তৃণমূলের পারিবারিক দ্বন্দ্ব নিয়ে বক্তব্য নেই।"
আরও পড়ুন- নারীশক্তিতেই ভরসা মমতার, ১৬-র মধ্যে ১০টি বরো চেয়ারম্যানই মহিলা
শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেন, "এই পুরবোর্ড আগেও ছিল। কিন্তু তারা কোনও প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেনি। সাধারণ মানুষের আশা পূরণেও ব্যর্থ হয়েছে। তাই এদের কাছ থেকে আর কোনও প্রত্যাশা নেই। ওরা ওদের মতো কাজ করে যাবে। আমাদের কাউন্সিলররা বিরোধী হিসেবে কাজ করবেন।" কলকাতা পুরভোটে মাত্র তিনটি ওয়ার্ড নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে বিজেপি। তার মধ্যে দুটি ওয়ার্ডে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল দুটি ওয়ার্ড। সেখানে দলের থেকেও প্রার্থীদের গুরুত্ব অনেক বেশি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
২২ নম্বর ওয়ার্ডে এবারও জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিত। এনিয়ে সেখানে ৬বার কাউন্সিলর হলেন তিনি। এছাড়া ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী ছিলেন সজল ঘোষ। তিনিও জয়ী হয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই দুই ওয়ার্ডে ব্যক্তি পরিচয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে দলের তেমন কোনও কৃতিত্ব নেই। যদিও বিজেপি চেষ্টা করছে এই দুই প্রার্থীকেও দলীয় সাফল্যের মুখ বলে তুলে ধরতে। অবশ্য এবার পুরভোট অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন মমতা। এমনকী, তার জন্য পুলিশকে দরাজ সার্টিফিকেটও দিয়েছেন তিনি। এনিয়েও কটাক্ষ করে শমীক বলেন, "উনি অনেক কিছুই বলবেন। কিন্তু প্রার্থী মার খেয়েছে। এজেন্ট মার খেয়েছে। এটাই সত্যি। কেউ ভোটার লাইন দেখাতে পেরেছেন!"