'উডবার্ণ কি কয়েদিদের আশ্রয়খানা' এমপি এমএলএ আদালতে নাম না করে দলের নেতা তথা রাজ্যের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে নিশানা করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
'উডবার্ণ কি কয়েদিদের আশ্রয়খানা' এমপি এমএলএ আদালতে নাম না করে দলের নেতা তথা রাজ্যের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে নিশানা করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। উল্লেখ্য, গরুপাচারকাণ্ডে সিবিআই তলব পেতেই গত ৫ দিন ধরে এসএসকেম- উডবার্ণে চিকিৎসাধীন রাজ্যের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল ওরফে কেষ্ট। গরুপাচারকাণ্ডে নিজামপাল্যাসে সিবিআই তলব করতেই হাজিরার দিনেই সোজা গিয়ে এসএসকেম ভর্তি হন অনুব্রত। শোনা যায়, যে বীরভমে কেষ্টর কথা ছাড়া পাতাও নড়ে না। তবে সিবিআই-জুজুর আতঙ্কে এখন যে কষ্টেই আছেন কেষ্ট, নাম না করলেও এদিন চাছাছোলাভাবেই তোপ দাগেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
উল্লেখ্য, রবিবারই রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে কটাক্ষ করেছিলেন। আর চব্বিশ ঘন্টা পেরোনোর আগেই ফের এদিন আত্মহত্যার চেষ্টা মামলায় এমপি এমএলএ আদালতে বিস্ফোরক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কুণাল ঘোষ ঘটনা প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, দাঁতের যন্ত্রনায় তিনি সেসময় ভুগছিলেন। কিন্তু তার চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। অথচ এসএসকেম-র উডবার্ণ ওয়ার্ডে প্রভাবশালীদের চিকিৎসা চলছে। যদিও এই মুহূর্তে সএসকেম-র উডবার্ণ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে গরুপাচার মামলার সঙ্গে নাম জড়ানো তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল। কুণাল প্রশ্ন তুলে বলেন, এটা কি হাসপাতাল নাকি জেলের কয়েদিদের আশ্রয়খানা, বিস্ফোরক অভিযোগ কুণালের। অনেকেই নজির বিহীন বলে কুণলের এই মন্তব্যকে আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে কাকে নিশানা করলেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন, 'আরশোলা বের হলেও এখানে খবর হয়', হাঁসখালিকাণ্ড প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মিডিয়াকে নিশানা মমতার
প্রসঙ্গত, বুধবার গরুপাচার কাণ্ডে নিজামপ্যালেসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত মন্ডলের। তিনি তার নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে ১০ টা ১৫ মিনিট নাগাদ গাড়ি নিয়ে বের হন। এরপর নিজাম প্যালেসের সামনে দিয়ে পাশ কাটিয়ে সোজা চলে যান এসএসকেম। হেঁটেই হাসপাতালে ঢোকেন তিনি। তাঁর পাজাকোলে করে তাঁকে ঢোকানো হয় উডবার্ণ ওয়ার্ডে।যদিও এসএসকেম-এ এসে সিবিআই যে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে পারে, সেই কারণে আগেই খোলা চিঠি দিয়ে রেখেছেন কেষ্ট। সিবিআইকে লেখা চিঠিতে অনুব্রত লিখেছেন, 'সদিচ্ছা থাকা সত্বেও অসুস্থতার কারণে হাজির থাকতে পারছি না। তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আমি। আমি সবরকম সহযোগিত করব।' তবে অনুব্রত-কে নিয়ে অনেকেই ভবিষ্যতবানী করে রেখেছিলেন বিরোধীরা। তিনি যে সিবিআই-র হাজিরা এড়াবেন আগে থেকেই নাকি বুঝতে পেরেছিলেন বলে দাবি অনেকেরই। তবে আচমকা অসুস্থতায় কেউই এনিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করতে চান না।