দ্রুত বদলাচ্ছে কলকাতা, টিমটিম করে আজও জ্বলছে এই রথের মেলাগুলি
কলকাতার নির্যাসকে আর পাঁচটা মেট্রোপলিটন থেকে আলাদা করা যায় না
তবুও আজও কয়েকটি রথের মেলা টিকে রয়েছে এই শহরেই
রইল তারই সুলুকসন্ধান
arka deb | Published : Jul 2, 2019 11:33 AM IST
রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, লোকারণ্য মহাধূমধাম, ভক্তেরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম। নিছক কবির ভাবনা নয়, এই দৃশ্য একদা কলকাতা শহরেও দেখা যেত। প্রাণকৃষ্ণ দত্ত কলিকাতার ইতিবৃত্ত গ্রন্থে লিথেছিলেন বৈঠকখানা বাজার থেকে লালদিঘি পর্যন্ত রথের কথা। এই বইতেই পোস্তার রথের কথাও বলা আছে। আজ এই ইঁট কাঠ কংক্রিটের জঙ্গলে সেই দৃশ্য হয়তো দেখা যায় না। কলকাতার নির্যাসকে আর পাঁচটা মেট্রোপলিটন থেকে আলাদা করার উপায়ও ক্রমে কমছে। তবুও আজও কয়েকটি রথ আর তাকে কেন্দ্র করে জমে ওঠা মেলাই টিকিয়ে রেখেছে উনিশ শতকের কলকাতার গন্ধ। পাপড়ভাজার স্বাদ নিন, ফিরে যান সেই শৈশবের কলকাতায়।
কয়েকটা নমুনা দেওয়া যাক এখানে-
Latest Videos
ঠাকুরপুকুর অঞ্চলে প্রায় ১৫ দিন ধরে রথের মেলা চলে।
পার্ক স্ট্রিটে ময়দানে রাখা থাকে ইস্কনের রথ। সেই উপলক্ষ্যে মেলা জমে সেখানেও।
নাগেরবজার অঞ্চলে একটি বড় রথের মেলা হয়।
বড়িশা শখের বাজার পুজো কমিটি বহু বছর ধরেই একটি রথের মেলা আয়োজন করে।
টালিগঞ্জের কবরডাঙ্গাতে ১৫ দিন ধরে মেলা চলে।
বেলঘড়িয়াতে বিটি রোডের ওপর রথতলায় কেবল মাত্র রথের দিনই একটি জমাটি মেলা বসে।
ডানলপ সংলগ্ন চিড়িয়া মোড়ের কাছে রাস্তার দুই ধারে প্রায় ১৫ দিন ধরে চলে রথের মেলা।
মুকুন্দপুরে প্রায় ১৫ দিনের মেলা বসে প্রতি রথে।
ঢাকুরিয়ায় ব্রিজের কাছে সোজা ও উল্টো রথের দিন ছোট মেলা বসে।
গড়িয়া ৬ নং বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি বড় রথের মেলা হয়। সেই মেলাও চলে প্রায় এক মাস ধরে।