লকডাউনের মধ্যেই ফের কিছু ছাড়ের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে কনটেনমেন্ট জোনে কোনও বিধিনিষেধ শিথিল হচ্ছে না। এর বাইরে সব জোনেই স্ট্যান্ড-অ্যালোন বা একক ভাবে থাকা সব রকমের দোকান খোলা যাবে। তবে জেলার পুলিশ ও প্রশাসন ঠিক করে দেবে কোথায় কোন দোকান খোলা যাবে বা যাবে না সেটা। একবার দেখে নেব কোন কোন বিষয়ে ছাড়পত্র দিলেন মুখ্য়মন্ত্রী।
খোলা যাবে কোন কোন দোকান-
জুয়েলারি, ইলেকট্রিক, ইলেকট্রনিক্সের দোকান, মোবাইল সার্ভিস,ছোট খাবারের দোকান৷ তবে ছোট দোকানেও বসে খাওয়া যাবে না৷ তাছাড়া এখনই কোনও বড় রেস্তোরা খুলছে না৷ তাঁত হাট, খাদি বাজার, বিশ্ব বাংলা হাট খোলা হল৷ সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে দোকানগুলো৷
এদিকে নতুন ছাড়পত্রকে কেন্দ্র করে চালু হচ্ছে রফতানি ও আমদানি৷ গ্রিন জোনে জেলার মধ্যে বাস ও ট্যাক্সি চলবে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সিনেমা-সিরিয়ালের শুটিংয়ের ক্ষেত্রে এডিটিং-ডাবিং চালু হবে। তবে নতুন শুটিং নয়।
মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, লকডাউনের জেরে অর্থনীতি ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। পরিকল্পনা করে লকডাউন ঘোষণা করলে এত বিপর্যয় হত না। জেলাশাসকদের বলা হচ্ছে, ১০০ দিনের কাজে জোর দিতে। আরও বেশি লোককে কাজে নিয়োগ করতে হবে। ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদেরও একশো দিনের কাজ দেওয়ার জন্য জেলাশাসকদের বলা হয়েছে।
এদিন নতুন করে কিছু ছাড়ের কথা নবান্ন থেকে ঘোষণা করা হলেও মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেন, গোটাটাই স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনা করে ঠিক করবে পুলিশ প্রশাসন। এই ব্যবস্থা সুষ্ঠু ভাবে করতে রেড জোনকে তিন ভাগে ভাগ করার পরিকল্পনাও করেছে নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন সেই পরিকল্পনা তিন দিনের মধ্যে করে ফেলবে প্রশাসন।