দেখতে দেখতে তিন বছর পেরিয়ে গেল। কিন্তু নোটবন্দির ধাক্কা সামলে এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেননি সাধারণ মানুষ। বিরোধীদের অভিযোগ তেমনই। শুক্রবার একের এক টুইট করে এই ইস্যুতে ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিদেশের ব্যাংকে গচ্ছিত কালো টাকা উদ্ধার করে আনবেন। এমনকী, দেশের নাগরিকদের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা করে জমাও করে দেবেন। এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৪ সালে বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। আর কেন্দ্রে প্রথমবার ক্ষমতার আসার ঠিক দু'বছরের মাথায়, ২০১৬ সালে ৮ নভেম্বর মধ্যরাতে আচমকাই ৫০০ ও ১০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীবলেছিলেন, রাতারাতি নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে কালো টাকা যেমন উদ্ধার করা যাবে, তেমনি বেআইনি আর্থিক লেনদেনেরও পর্দাফাঁস করা সম্ভব হবে। কিন্তু নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষকেও কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি। এমনকী, চাকরিও হারাতে হয় বহু মানুষকে। সেই সমস্যাগুলি তুলে ধরেই মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
বুধবার টুইটারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, '২০১৬ সালের আজকের দিনে নোটবন্দি চালু করা হয়। সিদ্ধান্ত ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই আমি বলেছিলাম, 'দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের জীবন এর ফলে বিঘ্নিত হবে। এখন বিশ্বের তাবড় তাবড় অর্থনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ও বিশেষজ্ঞরাও একই কা বলছেন।' মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, 'সেই দিন অর্থনীতির বিপর্যয় শুরু হয়েছিল, আর আজ দেখুন কি পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। ব্যাঙ্ক সংকটে, অর্থনীতি মন্দায়। সকলেই ভুক্তভোগী।'
প্রসঙ্গত, এবারই প্রথম নয়। নোটবন্দি বিরোধিতায় আগেও সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদী সরকারের সিদ্ধান্ত বিরুদ্ধে পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এ রাজ্যে পালিত হয়েছে কালাদিবস। টুইটারে ডিপিও কালো করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। পরবর্তীকালে জিএসটি চালুর বিরোধিতা করেন তিনি।