অবিলম্বে রাজীব কুমারের আত্মসমর্পণ করা উচিত। অন্যথায় কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে খুন করিয়ে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।
কদিন আগে বিজেপির রাজ্যসভাপতি বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতেই লুকিয়ে রয়েছেন রাজীব কুমার। রাজীব কুমারকে সিবিআই তলব করতেই এখন মোদীর কাছে ছুটছেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ কান টানলে মাথা আসে। তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতির পথে হাঁটলেন না অর্জুন সিং। সারদা মামলায় রাজীব কুমারকে সিবিআই তলব নিয়ে ব্যারাকপুরের এই সাংসদ বলেন,'একজন সাব ইনস্পেকটরকে ছুটি নিতে গেলে ফোন নম্বর জানিয়ে যেতে হয়। তিনি কোথায় যাচ্ছেন জানিয়ে যেতে হয়। আর রাজীব কুমার কিছু না জানিয়েই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ওনার পরিবারের কাছে বলব,অবিলম্বে রাজীব কুমারকে আত্মসমর্পণ করতে বলুন। নতুবা মুখ্যমন্ত্রী ওনাকে খুন করিয়ে দিতে পারেন। কারণ মুখ্যমন্ত্রী জানেন, রাজীব কুমার মুখ খুলে দিলে তৃণমূলের সরকার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে। সবার আগে সারদা মামলায় দিদি-ভাইপোর নাম আসবে।'
এই বলেই অবশ্য় থেমে থাকেননি অর্জুন সিং। রাজ্যপাল নিয়ে তৃণমূলের মন্তব্যকেও একহাত নিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। কদিন আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করতে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। প্রকাশ্য়েই ধনখড়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সমালোচনা করে তৃণমূল। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, যাওয়ার সময় গাড়ি থেকে মুখ্য়মন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী ওনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে না যেতে অনুরোধ করেন। তিনি আশ্বাস দেন, আলোচনার মাধ্য়েমে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ছাত্রদের বোঝানো হবে। কিন্তু তা শুনেও উনি ওখানে চলে যান। এমনকী পুলিশ না ডাকলে উপাচার্যকেও পদত্যাগ করতে বলেন। তবে শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নন, রাজ্যপালের যাদবপুরে যাওয়া নিয়ে মন্তব্য করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, সংবিধানের কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্যই রাজ্যপাল থাকেন। তিনিই যদি জায়গায় চলে যান, তাহলে সাংবিধানিক কর্তারা কী করবেন। ওনার বোঝা উচিত, রাজ্যপাল পদের একটা গরিমা আছে।
মঙ্গলবার তৃণমূলের রাজ্যপাল প্রসঙ্গ নিয়েই মুখ খুলেছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে জগদীপ ধনখড় যে কাজটা করেছেন, একদম ঠিক করেছেন। একজন মন্ত্রীকে মার খেতে দেখে উনি বুঝেছেন রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। তাই ওখানে গেছেন। ৬ ঘণ্টা ধরে মন্ত্রীকে আটকে রেখে অবরোধ চলছে। পুলিশের পাত্তা নেই, রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে মমতা ব্য়ানার্জির লজ্জা হওয়া উচিত। কারণ ওখানে আগে মুখ্য়মন্ত্রীর যাওয়া উচিত ছিল।