পুরভোটে সবুজ আবীরের মাঝেই ২২ নং ওয়ার্ডে গেরুয়া রঙ আনলেন বিজেপি প্রার্থী মীনা দেবী পুরোহিত। এদিন সাফ জানালেন 'মানুষের জন্য কাজ করছেন, তাই জয়তো পাবেনই।'
পুরভোটে ( KMC Polls result 2021 )সবুজ আবীরের মাঝেই ২২ নং ওয়ার্ডে গেরুয়া রঙ আনলেন বিজেপি প্রার্থী মীনা দেবী পুরোহিত। কম ঝড়-জল যায়নি গত ৪৮ ঘন্টায়। তবুও বরাবরের মতই সসম্মানে বিজেপির পাগড়িতে পালক রাখলেন তিনি। মূলত, পুরভোটের দিন ঘটে যাওয়া একাধিক অশান্তির মধ্যে অন্য়তম ছিল ২২ নং ওয়ার্ড। অভিযোগ, ভোটের দিন তাঁর পরনের পোশাক ছিড়ে দেওয়ার মতো ঘটে। তবে সেই সব কিছুই পিছনে রেখে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে শেষঅবধি এবারও পদ্ম ফোটালেন বিজেপি প্রার্থী মীনা দেবী পুরোহিত (BJP Candidate Meena Devi)। তবে জয়ের পর ইতিমধ্যেই তৃণমূলের দিকে তোপ দেগেছেন তিনি। এদিন সাফ জাানলেন 'মানুষের জন্য কাজ করছেন, তাই জয়তো পাবেনই।'
কলকাতা পুরভোটে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে বরাবরই শক্তিশালী বিজেপি। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে কলকাতার পোস্তা এলাকার এই ওয়ার্ডে গেরুয়া শিবির সক্রিয় রয়েছে। গত আড়াই দশক ধরে কলকাতা পুরভোটে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী মীনা দেবী পুরোহিত। এদিন তিনি জিতলেন এক হাজারেরও বেশি ভোটে। সারা কলকাতার সবুজ আবীরের মাঝে ২২ নং ওয়ার্ডে গেরুয়া রঙ মিশলো। ওদিকে ১৩৪ তৃণমূলের ঝোড়ো ইনিংসের মাঝে পদ্ম ফুটিয়েছেন তিনি। তবে ভোটের দিন এই ওয়ার্ডে মীনা দেবীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর পরনের পোশাক ছিড়ে দেওয়ার মতো ঘটে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। যদিও এই ঘটনার প্রমাণ চেয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
যদিও এই মুহূর্তে পুরভোটে জিতে বেশ খুশির মেজাজে মীনা দেবী। মীনা দেবী জানিয়েছেন, ষ্ষ্ঠবারের জন্য কাউন্সিলর মনোনীত হয়ে আমি খুব খুশি। এই জয় সাধারণ মানুষ এবং বিজেপি কর্মীদের জয়। ভোট প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ ছিল না । যদি থাকত, তাহলে আরও ওয়ার্ডে ভোট পেতে বিজেপি। প্রসঙ্গত, পুরভোটের মধ্যে ৫০ নং ওয়ার্ডেও টানা দুই বছরের তৃণমূলের রেকর্ড ভেঙে বিজেপির জয় এনেছেন সজল ঘোষ। তিনি বলেছেন , এটা ষড়যন্ত্রের জবাব। তাই সংখ্যায় অল্প আসন হলেও বেশ কঠিন পরীক্ষায় জয়ী হয়েছেন বিজেপির এই প্রার্থীরা। বলাযায় তৃণমূলের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের অবস্থান না থাকলেও ভরাডুবি থেকে দল তুলে এনেছেন এই পুরযোদ্ধারই। যদিও তৃণমূলের অবস্থান নিয়ে, বিজেপির এহেন পরিস্থিতিতে ভরাডুবির দায় এড়িয়ে বরাবরের মতো খোঁচা দিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য।