দর্শক শূন্যই থাকবে পুজো মণ্ডপ। পুজো উদ্যোক্তাদের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে এমনটাই জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। তা নিয়ে নানান মত প্রকাশ করছে বিভিন্ন মহল। প্রতিক্রিয়া জানালেন মন্ত্রী-পুজো উদ্যোক্তা ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসু, অপূর বিশ্বাস। করোনা আবহে হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন চিকিৎসকরা।
কী বলছেন মন্ত্রী-পুজো উদ্য়োক্তারা ?
ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী-পুজো উদ্য়োক্তাঃ-''আদালতের রায় নিয়ে কিছু বলব না। দর্শনার্থীদের বলা হয়েছিল মাস্ক পরে, বিধি মেনে প্রতিমা দর্শন করতে। শুধু আমার পুজো নয়, অন্যান্য জায়গাতেও একই আয়োজন করা হয়েছিল''।
সুজিত বসু, মন্ত্রী-উদ্য়োক্তাঃ-''ভিড় কমানো বা বাড়ানো আমার হাতে নেই। তাছাড়া ভিড় কমাতে যাব কেন। করোনা পরিস্থিতিতে আদালত বলছে রাস্তায় বেরোবেন না। সরকার বলছে কতগুলো নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলে তো পুজোয় লকডাউন করতে হয়। কার্ফু জারি করতে হত। যখন কার্ফু বা লকডাউন নেই, তখন মানুষ রাস্তায় বেরোবে না কেনো''।
অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী-উদ্য়োক্তাঃ- ''আমরা শহর জুড়ে হোর্ডিং লাগিয়ে সচেতনতার বার্তা দিয়েছি। তাছাড়া, আমাদের পুজো হবে ফেসবুক, ইউটিউব লাইভে দেখানো হবে। মাস্ক-স্যানিটাজার ব্যবহার নিয়ে সচেতনতার প্রচার করা হয়েছে''।
কী বলছেন চিকিৎসকরা?
অনির্বাণ নিয়োগী, চিকিৎসক-''যে কোনও ভিড় থেকেই করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। কে কী বলছে জানি না, আমার হিসেবে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যায় বেশি। এই একটা বছর দায়িত্ববান নাগরিক হতে সমস্যা কোথায়''?
কুণাল সরকার, চিকিৎসক-''ভিড় থেকেই সবচেয়ে বড় বিপদ। এই সহজ বক্তব্যটা কিছুতেই কেউ বুঝতে পারছেন না। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছে, যেখানে একদল বলছে প্রতিমা দর্শন করব। কিন্তু অন্য দল তাঁদের বাধা দিচ্ছেন। দেখে সেরকমই মনে হচ্ছে। এমনটা ভাবা হলে তো মুশকিল''।
অরুণাভ তালুকদার, চিকিৎসক-''প্রতি বছরই তো পুজো আসে। এবার না হয় নিজেকে সুরক্ষিত রেখে, অন্যকে সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করা যায় না? সংক্রমণ বৃদ্ধির যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেটা ভুল প্রমাণ করলে সেটাই হবে উৎসবের সবচেয়ে বড় আনন্দ''।