কলকাতায় অপহরণকারীদের খপ্পরে বাংলাদেশি নাগরিক, ৫০ লাখ মুক্তিপণে অবশেষে মুক্তি

  •  কলকাতায় এসে অপহরণকারীদের খপ্পরে এক বাংলাদেশি নাগরিক
  •  অপহরণকারীদের হাত থেকে মুক্তি পেতে মুক্তিপণ হিসাবে ৫০ লাখ টাকা
  •  এই মর্মে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বসির মিঞা নামে বাংলাদেশের ওই বাসিন্দা

Asianet News Bangla | Published : Nov 13, 2019 1:45 PM IST

স্ত্রীর গহনা সহ অন্য জিনিস কিনতে কলকাতায় এসে অপহরণকারীদের খপ্পরে এক বাংলাদেশি নাগরিক। অবশেষে অপহরণকারীদের  হাত থেকে মুক্তি পেতে মুক্তিপণ হিসাবে ৫০ লাখ টাকা দিয়েছেন ওই বাংলাদেশি। ইতিমধ্যেই কলকাতার এন্টালি থানায় এই মর্মে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বসির মিঞা নামে বাংলাদেশের ওই বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগপত্রে ওই ব্যক্তি জানান-স্ত্রীর জন্য জুয়েলারি জিনিস সহ কিছু কেনাকাটা করতে গত সপ্তাহে তিনি কলকাতায় আসেন। সাথে ছিল বেশ কিছু মার্কিন ডলার। গত শনিবার কলকাতার কাছেই একটি শপিং মলেই নিজের ব্যবসা সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে কয়েকজন ব্যক্তির সাথে আলোচনা হয় ওই বাংলাদেশির। শপিং মলেই তাদের সাথে লাঞ্চও সারেন বসির। এরপর শিয়ালদহ রেল স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে তারা সকলেই বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাবড়ায় আসেন। সেখানে আরেক ব্যক্তির সাথে সাক্ষাতের কথা ছিল বসির সহ অন্যদের। কিন্তু হাবড়া স্টেশনে নামার পরই বসিরকে একটি অজানা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে তার, চোখ বেঁধে রাখা হয়।
এরপর ওই অজানা জায়গা থেকেই বাংলাদেশে বাবার কাছে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করতে জোর করা হয় বশিরকে। মুক্তিপণ হিসাবে ছয় লাখ টাকা জোগাড় করতে সক্ষম হয় বশির। পুলিশের কাছে বসির জানিয়েছেন, অপহরণকারীরা প্রত্যেকেই তার পূর্ব পরিচিত। বসিরের অভিযোগ, অপহরণকারীরা তার কাছে থাকা ৪৪ লাখ টাকার সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা ছিনিয়ে নিয়েছে। সব মিলিয়ে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫০ লাখ টাকা দিতে হয় অপহরণকারীদের।

বসিরকে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করে নিজের দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য দুইজন এজেন্টকেও ঠিক করে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বসির। কিন্তু গোটা ঘটনাটি বিএসএফ-এর কাছে ফাঁস করে দেওয়া হবে বলে বসির যখন ওই দুই এজেন্টকে হুমকি দেয়, তখনই তারা বসিরকে হাবড়ায় ওই অজানা স্থানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। অপহরণকারীদের চক্র থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই সে কলকাতায় ফিরে এসে গত রবিবার এন্টালি থানায় অভিযোগ জানায়। বুধবার এন্টালি থানার এক আধিকারিক জানান, আমরা গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। তারা যে শপিং মলে খাবার খেয়েছিলেন সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পুলিশের সাথেও যোগাযোগ করছি। 
 

Share this article
click me!