সন্দেশখালির ভাঙ্গিপাড়ার ঘটনায় রাজ্য কেন্দ্র সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। তুমুল বিরোধিতার পথেই হাঁটছেন রাজ্যের প্রশাসনের মাথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন সরকার ফেলে দেওয়া একটা চক্রান্ত চলছে ।
মুকুল রায় বললেন, মমতা ভুল বলছেন। মঙ্গলবার দুপুর বেলা সন্দেশখালি ভাঙিপাড়া গ্রামে নিহত ও আহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের পাশে সমবেদনা সবরকম সাহায্য ও পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে তিনি। তাঁর দাবি, এটা পরিকল্পিত খুন। টার্গেট করে করে মারা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের এখন নিখোঁজ বেশ কয়েকজন ।
মুকুল রায় এদিন বলেন, "শেখ শাহজাহানের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হামলা। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর করব।"
ক্রমে ঝাঁঝ বাড়তে থাকে মুকুলের। তিনি বলেন, "এই মুখ্যমন্ত্রী খুনী মুখ্যমন্ত্রী । সমস্ত রিপোর্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও কেন্দ্র পার্টিতে লিখিতভাবে জানাব। এইভাবে চলতে পারে না।"
মুকুল রায়ের দাবি, "আমরা সরকার ফেলার পক্ষে নই। অবিলম্বে যেসব দুষ্কৃতী হামলা চালিয়েছে তাঁদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। পুলিশও সহযোগিতা করছে না। পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই সব ঘটনা ঘটছে। যে দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি।"
প্রসঙ্গত এদিন যখন মুকুল রায় সন্দেশখালিতে, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় তখন বিদ্য়াসাগরের মূর্তি উন্মোচন করছেন। বিদ্বজনদের একজোট হওয়ার ডাক দেন তিনি সেখান থেকেই। বারবার বলেন, পরিকল্পিত ভাবে হিংসা ছড়াচ্ছে বিজেপি। প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও। বলেন মৃতের সংখ্যা বেশি করে দেখানো হচ্ছে। মমতার অবশ্য এদিন ত্রাণ তহবিল থেকে রাজনৈতিক হিংসায় সমস্ত নিহতদের পরিবারকেই অর্থ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু তিনি নিজে এখনও পৌঁছননি ঘটনাস্থলে।