কলকাতায় ভারত-বাংলাদেশের পিঙ্ক বল টেস্ট ঘিরে ক্রিকেট জ্বরে কাঁপছে শহর কলকাতা। শহর কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, সরকারি ভবন , ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাবের তাঁবু ইতিমধ্যেই সেজেছে গোলাপি আলোয়। এবার শহরের নামজাদা মিষ্টির দোকানের মিষ্টিতেও গোলাপি ছোঁয়া।
কলকাতা থেকে বাইরে পা রাখলেই বাঙালি বাঙালিকে লোকে চেনে রসগোল্লার নামে। কলকাতার মিষ্টিতে মিষ্টিমুখ করেনি এমন লোকও পাওয়া ভার। মূলত, চিনি ও গুড়ের রসগোল্লা স্বাদে এবং বর্ণের পার্থক্য হয়। তাছাড়া চকোলেট রসগোল্লা ,বেকড রসগোল্লা, কেশর রসগোল্লার চল বেশ অনেক দিনের। তবে পিঙ্ক বল টেস্টের উত্তেজনায় কলকাতা ঐতিহ্যবাহী বলরাম মল্লিক ও রাধারমণ মল্লিক মিষ্টান্ন ভান্ডার এনেছে গোলাপি রসগোল্লা। গোলাপি কালাকাঁদ ও গোলাপি সন্দেশের বাহার। সম্পূর্ণ ভেষজ রঙের এই মিষ্টির স্বাদ স্ট্রবেরি ফ্লেভারের। দাম সাধ্যের মধ্যেই। রসগোল্লার দাম ১০ টাকা থেকে শুরু। সন্দেশ এবং কালাকাঁদের দাম ১৫ টাকা থেকে শুরু। আজ থেকে টেস্ট ম্যাচের পাঁচ দিন দোকানে পাওযা যাবে এই গোলাপি মিষ্টি।
দেশের মিষ্টির ইতিহাস বলছে, উত্তর ও পশ্চিম ভারতে রসাল মিষ্টির চল কম। সে ক্ষেত্রে কলকাতার রসগোল্লার প্রতি আজব আকর্ষণ সবার। কদিন আগেও রসগোল্লার 'জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন' বা জিআই নিয়ে শুরু হয়েছিল দ্বন্দ্ব। ওড়িশা দাবি করে, রসগোল্লা আসলে তাদের আবিষ্কার। যদিও পরে নিজেদের যুক্তির সপক্ষে প্রমাণ দিতে পারেনি প্রতিবেশী রাজ্য। শেষ পর্যন্ত রসগোল্লা তৈরির কৃতিত্ব নেয় পশ্চিমবঙ্গ। বাংলায় নবীন চন্দ্র দাসের কারিগরিতে সৃষ্টি হয় রসগোল্লার। রসে ডোবানো ছানার এই গোল্লায় শুধু বাঙালি নয়, বিদেশিরাও তৃপ্ত হয়। কলকাতায় পিঙ্ক বলের টেস্টের আগে গোল্লায় ছড়িয়েছে গোলাপি আভা।