হাতে হাত, সেলফি, পুজোর কলকাতায় মুহূর্তে ভাইরাল এই বৃদ্ধ দম্পতি

  • ফেসবুকে ভাইরাল বৃদ্ধ দম্পতির ছবি
  • একসঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন তাঁরা
  • দম্পতির ছবি ফেসবুকে দেন এক ব্যক্তি
  • মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ছবি
     

debamoy ghosh | Published : Oct 16, 2019 11:28 AM IST

হাতে হাত ধরে ঠাকুর দেখা, মাঝেমধ্যে একটা সেলফি। দুর্গা পুজোয় কলকাতার মণ্ডপে মণ্ডপে কত অল্প বয়সি যুগলকেই তো এভাবে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। চোখ সয়ে যাওয়া এই ছবিটাই যেন হঠাৎ বদলে দিলেন এক বৃদ্ধ দম্পতি। না, তাঁদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। কিন্তু দুর্গা পুজোর কলকাতার সেরা কাপল হিসেবেই যেন নেট দুনিয়ায় ঝড় তুলেছেন তাঁরা। অপরিচিত এই বৃদ্ধ দম্পতির একসঙ্গে ঠাকুর দেখার ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল। 

কিন্তু কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলেন ওই দম্পতি? অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি প্রথম ফেসবুকে ওই দম্পতির ঠাকুর দেখার তিনটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পরস্পরের হাত ধরে মণ্ডপে ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখছেন ওই দম্পতি। ধুতি, পাঞ্জাবিতে পরিহিত বৃদ্ধের সঙ্গে মানানসই শাড়িতে তাঁর স্ত্রী যেন এক্কেবারে 'মেড ফর ইচ আদার'। ঠাকুর দেখার ফাঁকেই জমিয়ে সেলফিও তুলেছেন তাঁরা। প্রতিটি মুহূর্তে যেন তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন, ভালবাসার সত্যিই কোনও বয়স হয়না। চাইলেই পরস্পরের পরিপূরক হয়ে ওঠা যায়। 

নিজের ফেসবুক পোস্টে ওই দম্পতির পরিচয় না দিলেও অঞ্জন জানিয়েছেন, দম্পতির মেয়ে বিদেশে থাকেন। নিজেদের মতো করে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে ওই দম্পতি যেন বুঝিয়ে দিলেন, ভালবাসা শেষ বয়সের নিঃসঙ্গতাকেও অনায়াসে দূরে সরিয়ে দিতে পারে। অঞ্জন তাঁর পোস্টে যথার্থই লিখেছেন, 'প্রেম? সেলফি? পুজোয় মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরা? দেখো!মেয়ে বিদেশে থাকে। পুজোয় আসতে পারে না। তাই এই চিরসবুজ যুগল....ভালোবাসার জন্য বয়স লাগে না। শুধু দুটো মন, যারা পরস্পরকে ভালো রাখতে চায়, ভালো দেখতে চায়। আর কী চাই?ভালো থাকুন আপনারা। আরও অনেক পুজো এমনই করে একসাথে উপভোগ করুন।'

 

 

গত ১১ অক্টোবর ফেসবুকে এই পোস্ট করেছিলেন অঞ্জন। তার পর থেকে পোস্টটি প্রায় ছ' হাজারবার শেয়ার হয়েছে। লাইকের সংখ্যা ১৯ হাজার ছাড়িয়েছে। 

দম্পতির এই ছবি দেখে কমেন্ট বক্সেও উপচে পড়ছে ভালবাসা। ওই দম্পতিকে দেখে অনেকেই যেন নতুন করে ভালবাসতে শিখছেন। দম্পতির ভালবাসার ছবি দেখে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী কমেন্ট করেছেন, 'মন ভরে গেল!'

ছবি সৌজন্যে- অ ব্য য়/ অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক প্রোফাইল

Share this article
click me!