রাজভবনের সামনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যু । প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এক বাইক আরোহী এগিয়ে আসছিলেন। হঠাতই তারা দেখেই তিনি পড়ে যান রাস্তায় জলের মধ্যে। সেখানেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। তারপরই তাঁর দেহ ভাসতে শুরু করে। সেখানেই পড়ে ছিল খোলা একটি তার। সেই তার দেখেই আর এগোতে সাহস পাননি পথচারীরা। ঘটনাস্থলে সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছয় পুলিশ।
ওই জায়গাটি গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে পুলিশের তরফে। ওখানে আর কোনও খোলা বৈদ্যুতিন তার পড়ে আছে কিনা তাই নিয়ে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। পুলিশের ধারণা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির।
এদিকে, বাজ পড়ে হাওড়ায় মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আরও এক মহিলাকে। সকলের বাড়ি দাসনগর থানার বালিটিকুরি শেঠপাড়ায়। জানা গিয়েছে মঙ্গলবার দুপুরে প্রবল ঝড় বৃষ্টির সময় মাঠে চাষের কাজ করছিলেন একই পরিবারের তিনজন । বাজ পরলে চাষের জমিতে লুটিয়ে পড়ে তিনজনই।
তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় কোনা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে ডাক্তারেরা অশোক বিশ্বাস (৩২) নামে ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার মা রেবা বিশ্বাসকে পাঠানো হয়েছে হাওড়া জেলা হাসপাতালে । প্রাথমিক চিকিৎসার পরে বাবা অতুল বিশ্বাসকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরিবারে নেমেছে শোকের ছায়া।
মঙ্গলবার শহর জুড়ে দুপুর হতেই ঝড় বৃষ্টির তাণ্ডব শুরু হয়। শহর কলকাতার পাশাপাশি প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, মালদহ ও দুই দিনাজপুরে। পশ্চিম রাজস্থান থেকে আসাম পর্যন্ত একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান করায় এই ঝড় বৃষ্টির দাপট। কলকাতা আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ২৪ ঘণ্টা থাকতে এই পরিস্থিতি।
এর ফলে শহরসহ গোটা বাংলার তাপমাত্রা এক ধাক্কায় বেশ কিছুটা কমল। সঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৬ দশমিক ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তর প্রদেশ বিহার এবং হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে গেছে এই নিম্মচাপ রেখা। পাশাপাশি পশ্চিমের হাওয়ার প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে।