"শ্মশানে দেব, ডাণ্ডা দিয়ে ঠাণ্ডা করব, এটা বিজেপির গণতন্ত্র", কেন্দ্রর ভূমিকাকে প্রশ্ন তৃণমূলের

arka deb |  
Published : Jun 10, 2019, 09:44 AM ISTUpdated : Jun 10, 2019, 10:37 AM IST
"শ্মশানে দেব, ডাণ্ডা দিয়ে ঠাণ্ডা করব, এটা বিজেপির গণতন্ত্র", কেন্দ্রর ভূমিকাকে প্রশ্ন তৃণমূলের

সংক্ষিপ্ত

তৃণমূলের মহাসচিব মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পাঠানো অ্যাডভাইজারি নোট 'অসাংবিধানিক' এবং 'অগণতান্ত্রিক'  তিনি আরও মনে করেন গোটা ঘটনাই বিজেপির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। 

সন্দেশখালির ঘুম কেড়ে নিয়েছে রাজ্যের হয়ে উঠেছে বসিরহাট তথা বাংলার। তৎপর হয়ে ভোট পরবর্তী হিংসার বিষয়টি খতিয়ে দেখতেও চাইছে কেন্দ্রে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে দিলীপ ঘোষেদের পাঠানো নোটের ভিত্তিতেই রবিবার কেন্দ্রের তরফে অ্যাডভাইসারি নোট পাঠানো হয়েছে। এদিকে প্রধানমন্ত্রীও রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছেন রাজ্যের হিংসা নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে রবিরার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। তাঁর মত, বাংলাকে কার্যত অপমান করছে কেন্দ্র। তৃণমূলের মহাসচিব মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পাঠানো অ্যাডভাইজারি নোট 'অসাংবিধানিক' এবং 'অগণতান্ত্রিক'। তিনি আরও মনে করেন গোটা ঘটনাই বিজেপির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। 

শনিবার সন্দেশখালিতে নিহত দুই দলীয় সমর্থক প্রদীপ মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডলের দেহ কলকাতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করেন বিজেপি নেতারা। কিন্ত প্রথমে মালঞ্চ এবং পরে মিনাখাঁয় মৃতদেহ নিয়ে বিজেপি নেতাদের কনভয় আটকায় পুলিশ। পাল্টা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি নেতারা। তাঁরা দাবি করেন দুই মৃত সমর্থকের দেহ কলকাতায় দলের সদর দফতরে নিয়ে আসা হবে। না হলে রাস্তার উপরেই চিতা জ্বালিয়ে দেহ সৎকারের হুমকি দেন বিজেপি নেতারা। পাল্টা পুলিশ জানায়, কলকাতায় মৃতদেহ নিয়ে গেলে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। নিহত দুই সমর্থকদের দেহও রাস্তাতেই পড়ে থাকে। হুঁশিয়ারি অনুযায়ী বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের উপরেই চিতা সাজাতে শুরু করেন বিজেপি সমর্থকরা। পরে নিহতদের পরিবারে সঙ্গে কথা বলে পিছিয়ে আসে বিজেপি। সোমবার ১২ ঘণ্টা বন্ধও ডাকা হয়।

এই পরিস্থিতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি,  দিল্লিতে বসে বিজেপি নেতারা এ রাজ্যের পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন না। তিনি অভিযোগ করেন, "বিজেপির নেতার প্ররোচনা দিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে আমাদের কর্মীদের হত্যা করছে।"

সাংবাদিক বৈঠক থেকে যে বিষয়ে আজ মুখ খোলেন পার্থঃ

উত্তরপ্রদেশে কোথায় ছিলেন

সন্দেশখালির ঘটনায় অমিত শাহের হস্তক্ষেপের বিষয়টকে এভাবেই ব্যখ্যা করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন,  "ক্রিমিনালের স্বর্গ ইউপি ও গুজরাটে একের পর এক শিশু ও যাদব হত্যা হচ্ছে তখন আপনারা কোথায় ছিলেন। উত্তরপ্রদেশে ২৫ জন খুনের পরেও কেন কোনও অ্যাডভাইসারি নোট পাঠানো হল না?"

তৃণমূল কর্মী খুন

পার্থ চ্ট্টোপাধ্যায়ের দাবি, এ পর্যন্ত ৬ জন কর্মী তৃণমূলের খুন হয়েছে। সম্মেলন থেকেই তিনি প্ৰশ্ন ছুড়লেন, তখন কোথায় ছিলেন বিজেপির কর্তারা? 

অ্যাডভাইসারি নোটের বিরোধিতা

এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমরা অত্যন্ত কঠোরভাবে এই অ্যাডভাইসরি নোটের বিরোধিতা করছি। গণতন্ত্র বলে কোনও কথা বিজেপি বিশ্বাস করে না। বিজেপির কাছে থেকে গনতন্ত্র শিখতে হবে না। দু'দিন আগে গঙ্গারামপুরে পুলিশের মাথা ভেঙেছে ইঁট মেরে।

মুকুল রায় প্রসঙ্গ
 
একদা বন্ধু আজ রাজনৈতিক শত্রু হয়েছে। মুকুল রায়কে এই কাণ্ডে অনুঘটক মনে করছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, "কয়েক জন দালাল আজ বলছেন সিঙ্গুর ভুল ছিল।পড়াশোনা কম থাকলে এরকম হয় উনি তো কোনও আন্দোলনেই ছিলেন না। ওসব রায়-টায়কে দিয়ে কোনও দিন কোনও আন্দোলন হয়েছে নাকি"!

PREV
click me!

Recommended Stories

Nabanna Holiday: জানুয়ারিতে পরপর ১০ দিন ছুটি সরকারি কর্মীদের! দুর্দান্ত ঘোষণা নবান্নের
বিধানসভায় প্রবেশ ইস্যুতে উত্তপ্ত শুভেন্দু বনাম রাজ্যের সঙ্ঘাত, মামলা গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে