Poaching in West Bengal: পুলিশের জালে ২ চোরা শিকারি, বেলঘড়িয়ায় উদ্ধার ৫০টি বিলুপ্তপ্রায় কচ্ছপ

পাচার কাজে যুক্ত থাকার অপরাধে দুই জন যুবককেও গ্রেফতারও করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন বলেই দায়ের হয়েছে মামলা। ধৃতদের নাম সন্দীপন বিশ্বাস(২৬) ও সৌরভ মুন্সি(৩১)। দুই জনই নিউ ব্যারাকপুর থানা এলাকার বাসিন্দা।

Jaydeep Das | Published : Dec 29, 2021 2:26 PM IST

গোটা রাজ্যজুড়েই দিনে দিনে বেড়েই চলেছে চোরা শিকারের পরিমাণ(Poaching in West Bengal)। যার ফলে বড়সড় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে বন্য প্রাণীরা। এমচাবস্থায় এবার বুধবার সকালে ৫০টি বিলুপ্তপ্রায় কচ্ছপ(50 endangered turtles) উদ্ধার করল বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ। বুধবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে ময়লাখানা থেকে ৫০টি বিলুপ্তপ্রায় কচ্ছপ উদ্ধার করে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ(Belgharia police station)। একই সঙ্গে পাচার কাজে যুক্ত থাকার অপরাধে দুইজন যুবককেও গ্রেফতারও করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন(Wildlife Conservation Act) বলেই দায়ের হয়েছে মামলা। ধৃতদের নাম সন্দীপন বিশ্বাস(২৬) ও সৌরভ মুন্সি(৩১)। দুই জনই নিউ ব্যারাকপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। সন্দীপনের বাড়ি নিউ ব্যারাকপুর থানার পশ্চিম কোদালিয়ায়। আর সৌরভ মুন্সির বাড়ি লেলিনগড়ে।  ইতিমধ্যেই কচ্ছপ গুলিকে বন দপ্তরের হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছে বলেজানা য়াচ্ছে।

সূত্রের খবর, এদিন ধৃত দুই ব্যক্তি বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে(Belgharia Expressway) দিয়ে বিলুপ্তপ্রায় কচ্ছপ গুলি অন্যত্র পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় গোপন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাদের আটক করে পুলিশ। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। জেরা পর্ব চলতেই চাপের মুখে পড়ে কচ্ছপ নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে ধৃত দুই যুবক। এরপরে তাদের থেকে ৫০টি কচ্ছপ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিকে গত কয়েক বছর ধরে গোটা রাজ্যেই বিলুপ্ত প্রায় কচ্ছপ পাচারের পরিমাণ বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে। যা নিয়ে চিন্তিতবন দপ্তরের কর্মীরাও। সম্প্রতি হাওড়াগামী দুন এক্সপ্রেস  থেকে ১০০টি উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় প্রশাসনিক মহলে।

আরও পড়ুন- ফের বাড়ছে উদ্বেগ, করোনা ভাইরাসের বুস্টার ডোজ নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা মমতার

সূত্রের খবর, ওই ট্রেনেই ১০০টি কচ্ছপকে বস্তায় বেঁধে নিয়ে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। মঙ্গলবারই তাঁকে ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম বাবুলাল কাঞ্জার। বাড়ি, উত্তরপ্রদেশের আমেঠিতে। তবে ব্যান্ডেল স্টেশনে ট্রেন থামার আগে পুলিশের উপস্থিতি সম্পর্কে টের পেয়ে যায় বাবুলাল। তখনই সে ট্রেন থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করে। তবে কোন কামড়ায় সে রয়েছে সেই তথ্য আগে থেকেই ছিল জিআরপি-র কাছে। সেই মতো বাবুলালকে ধরার সব ব্যবস্থাই করা হয় পুলিশের তরফে। মঙ্গলবার সকালে নির্দিষ্ট সময়েই ব্যান্ডেল স্টেশনে পৌঁছয় হাওড়াগামী দুন এক্সপ্রেস। ট্রেনের কামরায় তল্লাশি শুরু করে জিআরপি। পালানোর চেষ্টা করেও রেহাই পায়না বাবুলাল। ১০০ কচ্ছপ সহ সেখানে তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। ব্যান্ডেলের পর এবার বেলঘড়িয়ায় বিলুপ্তপ্রায় কচ্ছপ উদ্ধারে যে প্রশাসনিক মহলে চিন্তা বাড়ছে তা বলাই বাহুল্য।

 

Share this article
click me!