কলকাতায় অফিস পার্টিতে ফের মাদক খাইয়ে গণধর্ষণ। পুলিশের জালে ৩ অভিযুক্ত। কলকাতা লাগোয়া হোটেলে উঠল এই অভিযোগ। রাজ্যে ফের আরও একটা ধর্ষণ উদ্বেগ বাড়াল সবারই।
কলকাতায় অফিস পার্টিতে ফের মাদক খাইয়ে গণধর্ষণ। পুলিশের জালে ৩ অভিযুক্ত। কলকাতা লাগোয়া হোটেলে উঠল এই অভিযোগ। রাজ্যে ফের আরও একটা ধর্ষণ উদ্বেগ বাড়াল সবারই। এই ঘটনায় অভিযোগকারীনির শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে । এবং অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হোটেলকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগুইহাটি থানার অন্তর্গত হোটেলের ৬ তলায় গত ১১ জুন অফিস পার্টি চলছিল। পার্টির জন্য গোটা তলটি ভাড়া নিয়েছিল সংস্থা। পার্টি চলাকালীন আক্রান্ত তরুণীকে ভূল বুঝিয়ে একটি ঘরে নিয়ে যান তার ২ সহকর্মী। সেখানে তাঁকে মাদক খাওয়ান তাঁরা। তরুণী অচেতন হয়ে পড়লে ধর্ষণ করেন ওই দুই সহকর্মী। এরপরেই বাগুইহাটি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তরুনী। অভিযুক্ত দুই সহকর্মী এবং এক মহিলাসহকর্মীকে গ্রেফচার করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, রাজ্যে ফের আরও একটা ধর্ষণ করে খুন উদ্বেগ বাড়াল প্রশাসনের। কিন্তু কথা হচ্ছে আর কত ধর্ষণ হবে পশ্চিমবঙ্গের বুকে, কেন এই নৃশংসঘটনাগুলিতে যবনিকা টানা যাচ্ছে না, কেন রাজ্যের অপরাধ মনষ্কদের লাগাম পড়ানো যাচ্ছে না, ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে সমাজের স্তরে।
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ছাত্রী-মহিলা-গৃহবধূ একা বাইরে বের হতে রীতিমতো আতঙ্কে থাকছে। গ্রাম বাংলা, মফস্বলে শুনশান এলাকাগুলিকেই টার্গেট করছে ধর্ষণকারীরা। তবে পৈশাচিক ধর্ষণের ঘটনার হাজারো উদাহরণ রয়েছে কলকাতার বুকে। গোবরডাঙা, দেগঙ্গা, মালদহ, মাটিয়া, হাঁসখালি, ময়নাগুড়ি, শান্তিনিকেতন একের পর এক ধর্ষণ হয়েই চলেছে রাজ্যে। প্রায় প্রতিসপ্তাহেই একাধিক গণধর্ষণের ঘটনা উঠে আসছে। কোথাও খুনের হুমকি, কোথাও ধর্ষণের পর হত্যা, কোথাও আবার ধর্ষণের পর দেহ দাহ করা হচ্ছে। ভয়াবহ একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে পশ্চিমবঙ্গে।
আরও পড়ুন, শুভেন্দু-সহ ৭ বিধায়কদের সাসপেনশন তুলে নেওয়া হোক, এবার মত ফিরহাদ-পার্থদেরও
আরও পড়ুন, প্রফেসর বর পাওয়া হল না, আদালতের নির্দেশে চাকরি যেতেই বিয়েতে বেঁকে বসল প্রেমিক
তবে শুধু এই রাজ্যেই নয়, এই মুহূর্তে হায়দরাবাদের নাবালিকা ধর্ষণ ইস্যুতে উত্তাল ঘোটা দেশ।পুলিশ জানিয়েছে, পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে মেয়েটি কয়েক জন কিশোরের সঙ্গে রাস্তা দিয়ে হাটছে। তারা বেশ কিছুক্ষণ আড্ডাও দেয়। মেয়েটি তার বয়ফ্রেন্ডকে জড়িয়ে ধরে। এমন ফুটেজও হাতে এসেছে পুলিশের। তারপর বাকিরা চলে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটি এক বন্ধুর সঙ্গে পার্টিতে গিয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে সে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যায়। তারপর বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করে। পাব ছাড়ার পর এই কিশোর ও কিশারীরা একটি পেস্ট্রির দোকানেও যায়। তারপর সন্ধ্যে জুবিলি হিলসের মত অভিজাত এলাকায় নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।