সূত্রের খবর, পুরভোটে মোতায়েন করা হবে ২৭ হাজার কলকাতা পুলিশ ও ৫ হাজার রাজ্য পুলিশ। কলকাতা পুরভোটের সুরক্ষায় থাকবে না কোনও সিভিক ভলেন্টিয়ার।
কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) নয়, রাজ্য (West Bengal Police) ও কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) দিয়েই কলকাতা পুরভোট (Kolkata Municipal Corporation Election) হবে। রাজ্যের ৩২ হাজার পুলিশ দিয়ে কলকাতা পুরভোট সম্পন্ন হবে বলে শনিবার পুলিশের তরফে সুপারিশ করা হয়েছে। পুরভোটের নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে (State Election Commission) প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়ে পুলিশের তরফে একথা জানানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে সোমবারের বৈঠকে।
সূত্রের খবর, পুরভোটে মোতায়েন করা হবে ২৭ হাজার কলকাতা পুলিশ ও ৫ হাজার রাজ্য পুলিশ। কলকাতা পুরভোটের সুরক্ষায় থাকবে না কোনও সিভিক ভলেন্টিয়ার (civic volunteer)। সোমবার পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে।
যদিও অনেক দিন আগে থেকেই ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়ে আসছে বিজেপি। কলকাতা পুরভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে তারা। একই দাবি তুলেছেন রাজ্যপাল (Governor) জগদীপ ধনখড়ও (Jagdeep Dhankhar)। যদিও বিজেপির সেই দাবিকে গুরুত্ব দেয়নি পুলিশ। বরং কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াই পুরভোট করানোর সুপারিশ করে কমিশনকে পুলিশের তরফে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে।
রিপোর্টে জানানো হয়েছে, কলকাতা পুলিশের ২৭ হাজার কর্মী ও আধিকারিক ছাড়াও রাজ্য পুলিশের ৫ হাজার কর্মীকে কাজে লাগানো হবে। প্রতি বুথে একজন করে এসআই, এএসআই এবং দুজন করে সশস্ত্র পুলিশ থাকবে।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু বলেন, "'কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভোট (Municipal Election)হলে অসুবিধা নেই, তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। আসলে এখানে পুলিশ তৃণমূলের লেঠেল বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। নিজের বিষয় এই তিনটে দল দ্বিতীয়, তৃতীয়,চতুর্থ হতে লড়াই করছে। বিজেপি এর মধ্যে নেই। জোটে জট রয়েছে। একবার তৃণমূলকে সিপিএম আহ্বান করছে আবার কংগ্রেসকে তৃণমূল গালাগাল করছে। বাঙালি হিসেবে হতাশ লাগে। শিবসেনা তৃণমূলকে কি বলল, আর তৃণমূল কী বলল সেটা নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই। যেকোনও নিয়োগে বিশৃঙ্খলা হওয়া স্বাভাবিক, কারণ এত দুর্নীতি হয়েছে যে প্রশাসনের সজাগ থাকা উচিত।"
উল্লেখ্য, গতবারের পুরভোটে কলকাতায় ৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু, এবার পুলিশের দেওয়া প্রাথমিক রিপোর্টে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কথা উল্লেখ নেই। ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াই এবার পুরভোট হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।