জল্পনায় জল ঢেলে রত্না চট্টোপাধ্য়ায় বললেন, বৈখাশী বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ারে কী কথা হয়েছে তা তিনি জানেন না। নিজের ওয়ার্ডের কাজে অবহেলা হচ্ছে বলে বেহালা পূর্ব বিধানসভার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে তিনি স্বেচ্ছায় সরে এসেছেন। দলীয় নেতৃত্ব তাঁকে আদৌ সরে যেতে বলেননি।
পুরসভা নির্বাচনের মুখে দলের তরফে বেহালা পূর্ব বিধানসভার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু শুক্রবার বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর থেকেই হাওয়া ঘুরতে থাকে। শোভন-বৈশাখী-রত্নার সমীকরণ পাল্টাতে শুরু করে। আচমকা সরিয়ে দেওয়া হয় রত্না চট্টোপাধ্য়ায়কে। তাঁর বদলে শোভন-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর তথা ১৩ নম্বর বোরোর চেয়ারম্য়ান সুশান্ত ঘোষকে বেহালা পূর্ব বিধানসভার পর্যবেক্ষকের পদে বসানো হয়। যার প্রেক্ষিতে শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের ঘরে ফেরার ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট হয়। এবং এদিন বেহালা পশ্চিমে তৃণমূলের জলযোগ অনুষ্ঠান রত্না চট্টোপাধ্য়ায় বয়কট বলেন মনে করা হয়। যদিও শনিবার সব জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে সাংবাদিকদের সামনে রত্না চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, তাঁকে কেউ সরিয়ে দেননি। বরং তিনিই ওই দায়িত্ব নিতে পারবেন না বলে স্বেচ্ছায় সরে এসেছেন।
এদিন সাংবাদিকদের সামনে রত্না চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের কী কথা হয়েছে তা তিনি জানেন না। কেউই জানেন না। তাই সেই কারণে তিনি সরে এসেছেন বা তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, এটি একটি রটনা মাত্র। তাঁর কথায়, "আমাকে দলীয় নেতৃত্ব কিছু বলেননি। না মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, না অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় না পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় আমাকে সরে যেতে বলেছেন। আমি নিজেই সরে এসেছি।"
কিন্তু মমতা-বৈশাখী বৈঠকের ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই সরে আসা কি নেহাতই কাকতলীয়? আর কি কোনও কারণ নেই? উত্তরে রত্না চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, " দেখুন বেহালা পূর্বের দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাজকর্ম ঠিকমতো করতে পারছিলাম না। তাই আমি নিজেই সরে এসেছি। যাতে ওই ওয়ার্ডের কাজ অবহেলিত না-হয়। "