শ্বাসনালীতে আটকে বীজ, মৃত্য়ুর মুখ থেকে কিশোরীকে ফেরাল মেডিক্য়াল কলেজ

  • কুল খেতে গিয়ে শ্বাসনালিতে বীজ আটকাল কিশোরী
  • ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার কাশিপুর থানা এলাকায় 
  • আজ শনিবার সকালে অস্ত্রোপ্রচার শুরু হয় পিংকির   
  • প্রায় মৃত্য়ুর মুখ থেকে কিশোরীকে ফেরাল  হাসপাতাল 

Ritam Talukder | Published : Jan 18, 2020 11:51 AM IST

কুল খেতে গিয়ে শ্বাসনালিতে বীজ আটকে মৃত্য়ুর মুখে পড়ল বছর বারোর কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার কাশিপুর থানা এলাকায়।  ষষ্ঠ শ্রেণীর ওই কিশোরীর নাম পিংকি হাঁসদা। কুল খেতে গিয়ে শ্বাসনালিতে বীজ যাওয়ায় ওই কিশোরীর প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তারপর তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়, বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে। 

আরও পড়ুন, অনুপ্রবেশ রাজ্য়ের সমস্য়া, মানলেন সাহিত্য়িক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

গত শনিবার  পিংকিকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর তাঁর এক্স-রে এবং সিটি স্ক্য়ান করা হয়। তার ফলে বেরিয়ে আসে ভয়াবহ রিপোর্ট। কিশোরীর শ্বাসনালিতে কুলের  বীজ আটকে যাওয়ায় তার ডানদিকের ফুসফুস প্রায় অকেজো হয়ে গেছে। একটানা ৫ দিনের প্রচুর চেষ্টা করেও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে ওই কিশোরীর শ্বাসনালি থেকে আটকেো যাওয়া বীজ বার করতে সক্ষম হয়নি। এরপর গতকাল শুক্রবার পিংকির পরিবারের লোক শেষ অবধি আশা হারিয়ে নিয়ে আসে তাঁকে কলকাতার মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে। 

আরও পড়ুন, পার্কসার্কাসে এটিএম কার্ডের ক্লোনিং চক্রের পর্দা ফাঁস, সতর্ক করল কলকাতা পুলিশ

এদিকে মাঝে একটা সপ্তাহ কেটে যাওয়ায়, অকেজো ফুসফুস আরও ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করে ওই কিশোরীর শরীরে। কলকাতার মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষা করে দেখা যায়,  প্রায় ১০০ থেকে ৪০ নেমে আসে ওই কিশোরীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা। গভীর রাতে পিংকিকে নিয়ে আসা হয় হাসপাতলের ইএনটি বিভাগে। কিন্তু সেওই সময়ে ইএনটি বিভাগে কোনও বেড ফাঁকা না থাকায়, ফের পিংকিকে নিয়ে যাওয়া হয় অর্থপেডিক বিভাগে। তার আজ শনিবার সকালে অস্ত্রোপ্রচার শুরু হয় পিংকির। বংঙ্কোস্কপি করে আজ সকালে শ্বাসনালিতে আটকে যাওয়া কুলের বীজটি বার করতেল সক্ষম হন মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। তবে এখনও বিপদসীমা থেকে বেরোতে পারেনি পিংকি। ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা না কাটা অবধি এখনও আশঙ্কা রয়েই গেছে। তবুও মেয়ের প্রাণ ফিরিয়ে আনায়, পিংকির পরিবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকের প্রতি।
 

Share this article
click me!