কেন অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এই বিদেশী সেক্স টয়দুটিকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন অর্পিতা -পার্থর ব্যক্তিগত জীবন বা যৌন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে আসতে পারে এই খেলনার মাধ্যমে।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের মামলায় গ্রেফতার তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একের পর এক বাড়ি থেকে নগদে উদ্ধার কোটি কোটি টাকা। এবার অবাক করা তথ্য। বান্ধবী অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে সেক্স টয়। কেন এভাবে সেক্স টয় উদ্ধার হল, কি করতেন তরুণী অর্পিতা বিদেশী সেক্স টয় নিয়ে! প্রশ্ন ইডির আধিকারিকদের মনে।
এক গোয়েন্দা কর্তার কথায়, ‘‘২০ বছরের চাকরি জীবনে অনেক মামলার তদন্ত করেছি৷ অনেককিছু উদ্ধারও করেছি৷ কিন্তু সেক্স টয়? না, আগে কখনও অপরাধীর বাড়ি থেকে এমন খেলনা উদ্ধার করিনি!’’ ওই গোয়েন্দা কর্তার কথায়, ‘‘যে দুটি সেক্স টয় উদ্ধার হয়েছে তা মূলত সঙ্গমের বিকল্পকারী বলেই মনে হচ্ছে৷ বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হবে৷ তাঁরা এই বিষয়ে মতামত দেবেন৷’’
কেন অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এই বিদেশী সেক্স টয়দুটিকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন অর্পিতা -পার্থর ব্যক্তিগত জীবন বা যৌন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে আসতে পারে এই খেলনার মাধ্যমে। এদিকে, প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে সেক্স টয় উদ্ধার হতেই শ্রীলেখা মিত্র সেই খবরের স্ক্রিনশট শেয়ার করে লেখেন, 'আহারে তোমরা যেনো কী, পার্থবাবুর একটি ইচ্ছে করতে পারে না। শোনো বয়স বাধা নয়, জাতও কোনও বাধা নয়, সেক্স বারবার #এগিয়ে বাংলা'। শাসকদলকে খোঁচা দিতে একধাপ এগিয়ে থাকেন শ্রীলেখা মিত্র। আর এরকম একটা রগরগে বিষয়ে তিনি যে চুপ থাকার পাত্রী নন তা সকলেরই জানা। দিনকয়েক আগেও বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে অভিনেত্রী বলেছিলেন, এ রাজ্যে জন্ম না হলেই ভালো হতো, বড্ড দমবন্ধ লাগছে।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলের মহাসচিব পদ, শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সভাপতি এবং পরিষদীয় দলনেতার পথ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পদে ছিলেন। পাশাপাশি দুটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্বও ছিল তাঁর হাত। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে যাতে দ্রুত মন্ত্রিত্ব ও দলের সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তার দাবি করেছিলেন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
উল্লেখ্য, অর্পিতার বেডরুম থেকে বাথরুম কোথায় নেই টাকা, এ যেন টাকার পাহাড়। প্যাকেটবন্দি টাকা দেখে হতবাক হয়েছে ইডি আধিকারিকরাও। জানা গিয়েছে উদ্ধার হওয়া নগদ টাকার পরিমাণ ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। এখানেই শেষ নয় মিলেছে সোনার বার, গয়না, সোনার পেন। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা। প্রচুর রূপোর কয়েন, বাটিও মিলেছে। টাকা -গয়না ছাড়াও যেটা পাওয়া গেছে তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে আধিকারিকদের।