"রাতে ঘুম হয়নি শোভনের, নারদ মামলা নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন", জানালেন বান্ধবী বৈশাখী

  • শুক্রবার নারদ মামলায় হাজিরা দেন চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী
  • বান্ধবী বৈশাখীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে আসেন শোভন
  • শোভনকে নিয়ে বড়ই চিন্তিত বৈশাখী
  • গতকাল রাতে শোভনের ঘুম হয়নি 

debojyoti AN | Published : Jun 4, 2021 11:55 AM IST

নারদ মামলায় শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন চার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী। সকালে আদালতে যান ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিছুক্ষণ থাকার পরই তাঁরা আদালত চত্বর ছেড়ে বেড়িয়ে যান। শোভনের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে শোভনকে নিয়ে বড়ই চিন্তিত তিনি। গতকাল রাতে ঘুমাতে পারেননি শোভন। উদ্বিগ্ন হয়ে সংবাদমাধ্যমকে একথা জানানলেন বৈশাখী। 

আরও পড়ুন- নারদ-মামলায় আজ ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ৪ হেভিওয়েট, কোন পথে এবার

কখনও সংশোধনাগারের বাইরে দাঁড়িয়ে হাপুস নয়নে কাঁদা, আবার কখনও শোভনের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে পুলিশের সঙ্গে বচসা। গত কয়েকদিনে বৈশাখীর প্রতিটা দিন কেটেছে উদ্বেগের মধ্যে দিয়ে। বঙ্গ রাজনীতিতে তাঁরা যথেষ্ট চর্চিত জুটি বলেই পরিচিত। যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। এতজনের অপমান মেনে নিতে পারেন না অন্যজন। উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির তরফে বেহালা পূর্ব থেকে প্রার্থী করা হয় অভিনেত্রী পায়েল সরকারকে। এতে বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন শোভন ও বৈশাখী। এরপর কড়া ভাষায় ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন শোভন বান্ধবী। তারপরই বিজেপি ছাড়েন তাঁরা। 

এরপর নির্বাচন শেষ হতে না হতেই তৎপর হয় সিবিআই। গত মাসে নারদ মামলায় ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রকে গ্রেফতার করা হয়। চারজনকে সকালে বাড়ি থেকে নিজাম প্যালেসে তুলে নিয়ে যায় তদন্তকারীরা। এরপর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় ও বান্ধবী বৈশাখীকে পাশে পেয়েছিলেন শোভন। তবে স্ত্রীকে কাছে ঘেঁষতে না দিলেও আইনি বিষয়ে দেখভালের জন্য বান্ধবীর উপরই একমাত্র ভরসা রেখেছিলেন প্রাক্তন মেয়র। চার হেভিওয়েটের অন্তর্বর্তী জামিনের পর অনেকটা স্বস্তি পেয়েছিলেন বৈশাখী। কিন্তু, আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজিরা দেওয়া নিয়ে ফের শোভনকে নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনে বৈশাখী বলেন, "এরকম তো আগে ফেস করেনি। গতকাল রাতে ঘুমায়নি। একটা উৎকন্ঠা ছিল। মন খারাপ তো আছেই।"

Share this article
click me!