বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিপত্তির ঘটনায় ডিজিসিএ-র কাছে রিপোর্ট তলব করল রাজ্য সরকার। এই ইস্যুতে এয়ারপোর্ট অথরিটির কাছে চিঠি পাঠালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর (WB CM Mamata Banerjee) বিমান বিপত্তির ঘটনায় ডিজিসিএ-র (DGCA)কাছে রিপোর্ট তলব করল রাজ্য সরকার ( State Government) । এই ইস্যুতে এয়ারপোর্ট অথরিটির কাছে চিঠি পাঠালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। যে এয়াররুটে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান ফিরেছে, তার অনুমতি আগে নেওয়া হয়েছিল কিনা,জানতে চাওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, রাজ্যের নির্দেশের পরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর উড়ান বিপত্তির ঘটনায় রিপোর্ট তৈরি কাজ শুরু করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী ফিরছিলেন বেনারস থেকে। সেই সময় তাঁর বিমান এয়ারপকেটে পড়েছিল কিনা সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা চিঠি লিখেছেন এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়াকে। সেখানে তিনি জানতে চেয়েছেন ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল। মুখ্যমন্ত্রী -সহ বিমানের সকল যাত্রীরা অনুভব করেছিলেন বিমানটি একটি ঝাঁকুনির মধ্যে পড়ে। একধাক্কায় অনেকটা নিচে নেমে আসে। হঠাৎ কেন এই ঘটনা ঘটেছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে, ডিজিসিএ-র কাছে থেকে জেনে বিস্তারিতভাবে এই রিপোর্ট জমা দিতে।
আরও পড়ুন, 'যুদ্ধটা বন্ধ হলে ভালই হয়, পুতিন ও জেলেনস্কিকে বুঝিয়ে বলতে পারেন মমতা,' খোশমেজাজে দিলীপ
উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলায় ফেরার পথে ঘটে এই দুর্ঘটনা। তবে এই প্রথমবার নয়, ২০১৬ সালেও পাটনা থেকে ফেরার পথে বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েন মমতা। এদিন টেলিফোনিক সাক্ষাতকারে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, আচমকা যদি কোনও বিমান তিন থেকে চার হাজার ফুট নেমে যায়, সেটা খুবই বড় ধাক্কা। ঠিক এমন ঘটনাই ঘটেছিল এদিন। আচমকাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান হু হু করে নেমে আসতে থাকে। কুণাল ঘোষ আরও বলেন শুধু নীচে নেমে যাওয়াই নয়, ডান দিক ও বাঁদিকে ভয়াবহ রকম ভাবে হেলতে শুরু করে ওই বিমান, যা কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা জনিত ইস্যুতে বড়সড় প্রশ্ন। গোটা বিষয়টি উদ্বেগের বলে জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তাহলে কি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে কাছে এই বিষয়ে কোনও তথ্য ছিল না, বলে প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ।
মূলত আকাশপথে বারাণসী থেকে কলকাতার দূরত্ব মাত্র ১ ঘন্টার। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী হাইপ্রোফাইল যাত্রী। তাই সুরক্ষা সবদিক থেকে নিশ্চিত করার কথা। এই ঘটনা হতেই সেখানে কি তবে কোনও খামতি ছিল প্রশ্ন উঠেছে। এরপরেই ডিজিসিএ-র কাছে রিপোর্ট তলব করল রাজ্য সরকার। এই ইস্যুতে এয়ারপোর্ট অথরিটির কাছে চিঠি পাঠালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। গোটা বিষয়ে কোনও চক্রান্ত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।