Mamata On Omicron: রাজ্যে জারি হতে পারে কড়া কোভিড বিধি, ইঙ্গিত দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গের ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে এই রাজ্য। তারই মধ্যে নতুন বিপদ দেখা দিয়েছে ওমিক্রন নিয়ে। সূত্রের খবর এদিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ওমিক্রন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।

Asianet News Bangla | Published : Dec 27, 2021 4:21 PM IST

এখনই নয়, তবে প্রয়োজনে কড়া সতর্কতা জারি করা হতে পারে এই রাজ্যে। সোমবার নবান্নে (Nabanna) একটি উচ্চ পর্যয়ারে বৈঠকে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন গঙ্গাসগরের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ই তিনি বলেন এখনও কোভিড ১৯ (Covid-19) নিয়ে কড়া সতর্কতা জারির প্রয়োজন নেই। তবে প্রয়োজন হলে বা ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য কড়া সতর্কতা জারি করা হতে পারে। 

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গের ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে এই রাজ্য। তারই মধ্যে নতুন বিপদ দেখা দিয়েছে ওমিক্রন নিয়ে। সূত্রের খবর এদিনের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ওমিক্রন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। সেখানেই তিনি বলেনস প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে হবে। বাইরে থেকে অনেকেই এই রাজ্যে আসছে। তাই আরও বেশি করে সতর্ক থাকা দরকার। নবান্নের তরফ থেকে রাজ্যের ওমিক্রন পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী ৮-১৬ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা চলবে। মেলা নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠকেই তিনি রাজ্যের মন্ত্রী ও প্রশাসনিক অধিকর্তাদের রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখতে বলেন। সেই সময়ই তিনি বলেন এখনই রাজ্য কড়া সতর্কতার পথে হাঁটছে না। প্রয়োজনে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হতে পারে। 

এদিনের বৈঠকে মনতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েদেন গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজনেও যাবতীয় কোভিড স্বাস্থ্য বিধি মেনে করা হবে। তিনি আরও বলেন মেলায় যারা যোগদিতে আসবে তাদের কোভিড টেস্টের ব্যবস্থা থকবে। মেলা প্রাঙ্গনে অস্থায়ী হাসপাতালেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

অন্যদিকে এদিন, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে বেলেঘাটা আইডিতে ওমিক্রন আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হবে। এই হাসপাতালে ওমিক্রন আক্রান্তদের মূল চিকিৎসা হবে। তবে কেউ যদি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি না হতে চান তাদের জন্য আরও ছটি হাসপাতাকে ওমিক্রন অক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ছা়ড়পত্র দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল অ্যাপোলে, ফর্টিস, এমআরআই, উডল্যান্ড, বেলভিউ, চার্নক হাসপাতাল। এই সাতটি হাসপাতালেই ওমিক্রন আক্রান্ত বা ওমিক্রন সন্দেহভাজনদের চিকিৎসা হবে। এছাড়া আর কোনও বেসরকারি হাসপাতালে ওমিক্রন রোগী বা সন্দেহভাজনদের চিকিৎসা করা হবে না বলেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

দ্রুত কোভিড-১৯ টিকা দিতে হবে, ভোটমুখী রাজ্য নিয়ে কেন্দ্রকে সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন

Beleghata ID: ওমিক্রন ঠেকাতে বেলেঘাটা আইডি প্রস্তুত, চিকিৎসায় ছাড় আরও ৬টি হাসপাতালকে

পাঁচের বদলে চার কেন, পুরসভা নির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের
এদিন রাজ্যের স্বাস্থ্য় দফতরের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে আগামী ২০-২৫ দিনের মধ্যে রাজ্যে রাজ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়তে পারে। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের সরকারি বেসকারি হাসপাতালগুলি যেন প্রস্তুত থাকে, তেমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যের নার্সিংহোমগুলিতেও তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। 

Share this article
click me!