ফের কুসংস্কারের ছায়া কলকাতার পাশেই মহেশতলায়। একমাত্র মেয়ে ১০ বছর ধরে মানসিক রোগের শিকার হওয়ায় তাঁকে সাধুর কাছে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছিলেন অভিভাবকরা। অভিযোগ, মানসিক ভারসাম্য়হীন মেয়েকে ধর্ষণ করে চম্পট দিয়েছে সাধু। যার জেরে সরসুনার সোনামুখী এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে উত্তেজনা।
এলাকার অনেক চিকিৎসকের কাছে গিয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরে প্রতিবেশীর মাধ্যমে বাংলাদেশের সাধু বাবার শেখর রায় (শেখর পাগল) এর সঙ্গে আলাপ। মেয়েকে দেখে সাধুবাবা বাবা-মাকে তিন রাত তার কাছে রাখতে বলে। মাঝ রাতে ঝাড়ফুঁক মন্ত্রে সেরে যাবে মেয়ের রোগ। সাধুবাবার কথা বিশ্বাস করে মেয়েকে সাধু বাবার ঘরে পাঠিয়ে দেয় অভিভাবকরা। তৃতীয় দিন মেয়েকে আবার পাঠাবার চেষ্টা করলে বেঁকে বসে মেয়ে। দু রাত ধরে সাধু তাকে ধর্ষণ করেছে বলায় শুরু হয় সাধুর খোঁজ। এদিন সকাল হতেই সাধুর আস্তানায় যায় নির্যাতিতা মেয়ের বাবা-মা। যে প্রতিবেশীর হাত ধরে সাধুর সঙ্গে পরিচয় তাঁর বাড়ি যান মেয়ের বাবা-মা। সব কথা খুলে বলেন প্রতিবেশীকে। অভিযোগ, তিন দিন ঝাড়ফুঁক করবে বলেও প্রতিবেশীকে বলার পরই পালিয়ে যায় ওই সাধু।
যার জেরে সাধুর সঙ্গে প্রতিবেশীর অসাধু যোগ দেখছে নির্যাতিতার বাড়ির লোকজন। তরুণীর ভাই জানিয়েছে, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে তার বোন। বছর আটেক হল মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে সে। বহু টাকা দিয়ে চিকিৎসা করিয়েও কোনও লাভ হয়নি । তাই বাধ্য হয়েই ঝাড়ফুঁকের দ্বারস্থ হয় পরিবার। এলাকার লোকের ও মেয়েটির পরিবারের সন্দেহ, ওই প্রতিবেশী সাধুকে সব কথা বলে দেয় ।
তারপরই সাধু তার স্ত্রীর সাথে পালিয়ে যায় । এদিন সকালে ঘটনা চাউর হতে ওই প্রতিবেশীকে গিয়ে মারধর করে এলাকার লোকজন। স্থানীয়দের দাবি ওই ভন্ডসাধু বাংলাদেশ থেকে এসে আবার বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যে ঘটনার অভিযোগ জানানো হয়েছে মহেশতলা থানায় ।