শহরে তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার প্রেমিক। জানা গিয়েছে, ওই তরুণী এবং ধৃত প্রণব ওরফে পঙ্কজের ১০ বছরের সম্পর্ক। পরিবার সূত্রে খবর, পঙ্কজ বেরিয়ে যাওয়ার পর তরুণীকে বিছানায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
শহরে তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার প্রেমিক। জানা গিয়েছে, ওই তরুণী এবং ধৃত প্রণব ওরফে পঙ্কজের ১০ বছরের সম্পর্ক। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলে তরুণীর গড়ফার বাড়িতে এসেছিল পঙ্কজ। সেখানে থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তরুণীকে বিছানায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। সন্দেহ হতেই আর দেরি করেনি তরুণীর পরিবার। তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনার পর ইতিমধ্যেই গড়ফা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে পঙ্কজের সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ের কথা পাকা হয়েছিল। এমনকি পঙ্কজ ১ লক্ষ টাকা পণ চেয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে কী করে হল ওই তরুণীর মৃত্যু, 'খুন'-র পিছনেই বা কী কারণ লুকিয়ে রয়েছে, খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১০ বছরের সম্পর্কে তিক্ততা এবং বিয়ে নিয়ে বিবাদ থেকেই শেষ পর্যন্ত খুনে। পুলিশি জেরায় এমনটাই জানিয়েছে ধৃত প্রণব ওরফে পঙ্কজ দাস। জানা গিয়েছে, ৭ দিন বাদেই ছিল রেজিস্ট্রি। কিন্তু তার আগেই গড়ফার নিজের বাড়িতে খুন হয়ে যান সুস্মিতা দাস বলে অভিযোগ। তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্পর্কের টানাপোড়েনের থেকে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। বচসা চলাকালীনই বালিস চাপা দিয়ে খুন করে পঙ্কজ।
আরও পড়ুন, মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি, গ্রেফতার মত্ত তূণমূল নেতা, থানায় গিয়ে দিলেন টেনে ঘুম
দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সম্পর্ক ছিল দুই জনের। ১৫ ডিসেম্বর দুজনের বিয়েও ঠিক হয়ে যায়। তবে এক সপ্তাহ পরে রেজিস্ট্রি-র দোরগড়ায় দাড়িয়েই দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। বিয়ে করতে অস্বীকার করেছিলেন সুস্মিতা। যা থেকে পঙ্কজের সন্দেহ হয়ে 'তৃতীয়পক্ষের' কোনও আগমণ হয়েছে। সুস্মিতা অন্য কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। সেই কারণেই হয়তো বিয়ে করতে পিছিয়ে যাচ্ছেন সুস্মিতা। সন্দেহ থেকেই রবিবার ফের বচসা বাধে দুজনের মধ্যে। আর তখনই বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে সুস্মিতাকে খুন করে পঙ্কজ।
আরও পড়ুন, শুভেন্দু বসায় ভেঙে পড়েছিল খাট, ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার পরিবারকে নতুন করে কিনে দিল তৃণমূল
রবিবার ১২ নাগাদ তরুণীর বাড়িতে আসে হাবড়ার বাসিন্দা প্রেমিক পঙ্কজ। তারপর সুস্মিতার সঙ্গে বাড়িতেই ছিল পঙ্কজ দাস।দুপুরে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়াও করে। একই ঘরে মধ্যে ছিল দুজনে। এরপর বিকেল চারটে নাগাদ পঙ্কজ বেরিয়ে যাওয়ার পর ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় ওই যুবতীকে। মুখ থেকে লালা বেরোচ্ছিল। ঠোঁটের ুপর কালশিটে দাগও ছিল। পরিবারের লোকেরা এরপরেই তড়িঘড়ি করে সুস্মিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসকেরা সুস্মিতাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।