21 July Sahid Diwas Live: শহিদ দিবসের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, থামল প্রবল বৃষ্টি

গ্যাসের দাম এখন কোথায়, তেলের দাম কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, দেশটাকে বেচে দিচ্ছে, এসব মানা হবে না, গ্যাস বাড়ানোর সরকার আর নেই দরকার, তেলের দাম বাড়ানোর সরকার আর নেই দরকার-- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

'বিকাশ ভট্টাচার্যের নামটা উল্টো করে বললে কী হয়, ওটা আপনারা বলুন, যখন ক্ষমতায় ছিলেন কী করেন নি, এর নাম কেটে দাও, ওর নাম জুড়ে দাও, জন্ম শংসারপত্রের ফাইলটা খুলবো নাকি, আমরা ক্ষমতায় আসার সময় বলেছিলাম বদলা নয় বদল চাই, তাই আমরা সেই সব ফাইল আর খুলি নি, যার জন্ম শংসাপত্র পাওয়ার কথা নয় অকাতরে তাদের জন্ম শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে'- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

'মুড়িতে জিএসটি কেন, দই-এও জিএসটি, পেট ভরাতেও জিএসটি, তাহলে লোকে খাবে কি, আমাদের মুড়ি ফিরিয়ে দাও, নাহলে বিজেপি বিদায় নাও'- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

'বিজেপি-র ধান্ধাবাজি হচ্ছে যেন চাকরি যায়, আর আমরা চাই চাকরি হোক'- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

'সিপিএম-এর একটি সংবাদপত্র রয়েছে, তার যারা কর্মী রয়েছেন তাঁদের স্ত্রীরা কী করে শিক্ষকতার চাকরি পেল, সিপিএম-এর কায়দাই ছিল যে ছেলেরা পার্টি করবে আর বউরা চাকরি করবে, ওসব আমার জানা আছে '- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

'রাজ্যে বিনিয়োগের বন্যা, একের পর এক বিনিয়োগ আসছে, রাজ্যে এই মুহূর্তে ৫ টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি'- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

'দেউচায় সবচেয়ে ভালো মানের কয়য়লা পাওয়া গিয়েছে, এই কয়লা উত্তোলন শুরু হলে আগামী ১০০ বছর চিন্তা করতে হবে না. পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিশাল অঙ্কের বিদ্যুৎ করতে পারবে'- বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

'ছোটবেলায় কত সমস্যার সম্মুখিন হয়েছি, কারও চিকিৎসা করাতে পারতাম না, এত টাকা লাগত যে তার সামর্থ্য ছিল না. এখন স্বাস্থ্য সাথী হয়েছে, মানুষজন ফ্রি-তে চিকিৎসা করাতে পারে'- শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

'তৃণমূল কংগ্রেস থাকলে ফ্রি রেশন পাবে, লক্ষী ভাণ্ডার পাবে, তৃণমূল থাকলে সব থাকবে'- শহিদ দিবসের মঞ্চে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

'আমাদের মেরুদণ্ড সোজা, ওদের মেরুদণ্ড বেঁকা, কারণ ও একদিকে ইডি, অন্যদিকে সিবিআই নিয়ে চলে, আমদের বাংলা বঙ্কিম-রবীঠাকুর-নজরুলের, এখানে মানুষ উন্নত শীরে থাকে'- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

সকলকে সম্ভাষণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তৃতা শুরু করলেন, তবে বৃষ্টির মধ্যেও যেভাবে মানুষ দাঁড়িয়ে রয়েছে তাকে অভিনন্দন জানান মমতা

'তৃণমূল কংগ্রেসে একজনই সর্বোচ্চ তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এরপর ২ থেকে তারও পরে যা রয়েছে সকলেই তৃণমূল কর্মী, কর্মী কখনও প্রাক্তন হয় না, কর্মী সবসময়ই কর্মী থাকে'- শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

'কেন প্রকল্পের নাম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামে হবে, প্রকল্প হবে মানুষের নামে, কেন্দ্রের নামে কোনও প্রকল্পের নাম মেনে নেওয়া হবে না'-শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

'জোর গলায় আবার আপলনাদের সামনে বলছি, তৃণমূল কংগ্রেস করে খাওয়ার জায়গা নয়, এমন ধারনা রাখলে ঠিকাদরি করুন, আর তৃণমূল কংগ্রেস করলে ভালোবেসে করুন'- শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে বার্তা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

কারও হাতে লক্ষীর ভাণ্ডারের প্রতীকি, কেউ আবার সেজেছে চার্লি চ্যাপলিনের আদলে, কেউ আবার সুর তুলেছে বাঁশির সুরে, বলতে গেল ২১-এ শহিদ দিবসকে কে এক রঙিন শিয়ালদহ, দেখুন সেই ভিডিও 
 

বাংলা গর্ব মমতা তাদের টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করলেন একটি ভিডিও, যেখানে দেখানো হয়েছে কীভাবে শহিদ দিবসের জন্ম হল এবং ১৯৯৩ সালে ২১ জুলাই ধর্মতলায় মমতার অবস্থান বিক্ষোভে কী হয়েছিল 

রানাঘাট থেকে সকাল থেকেই দলে দলে মানুষ ট্রেনে করে শিয়ালদহ-এ পৌঁছছেন ধর্মতলায় শহিদ দিবসের মঞ্চে পৌঁছানোর জন্য, তারই এক ঝলক, দেখুন ভিডিও 

লক্ষীর ভাণ্ডার নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্দান্ত সাফল্যের দাবি রেখেছেন, রাজনৈতিরক মহলের মতেও লক্ষীর ভাণ্ডার বিধানসভা নির্বাচনেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে ভোট বক্সে বাড়তি মাইলেজ দিয়েছে, ২১ জুলাই-এর শহিদ দিবসে সেই লক্ষী ভাণ্ডারের প্রতীকি নিয়ে সভাস্থলের পথে তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা

টুকরো টুকরো ছবিতে দেখা মিলল শহিদ দিবসের সভাস্থলে ছবিটা, একনজরে দেখে নিন

একনজরে দেখে নিন বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে তোলা এই ছবি, যা বুঝিয়ে দিচ্ছে কীভাবে জন ,সমুদ্র আঁছড়ে পড়েছে ধর্মতলায়

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হাওড়া স্টেশনে দলে দলে মানুষ ট্রেনে করে এসেছেন এবং এখনও এসে যাচ্ছেন, সেখান থেকেই মিছিল করে সকলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন ধর্মতলায় শহিদ দিবসের সভামঞ্চে। 

বাসে করে এখনও দলে দলে লোকজন আসছে ধর্মতলায় শহিদ দিবসের সভাস্থলে, দেখুন সেই ভিডিও 

যে রেকর্ড ভিড়ের দাবি করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তার অনেকটাই পরিলক্ষিত হচ্ছে ইতিমধ্যে, এখন পর্যন্ত পাওয়া খবরে সভামঞ্চ থেকে অন্তত ২ কিলোমিটারের মধ্যে আর কোনও বসার জায়গা ফাঁকা নেই। দলে দলে মানুষ ভোর থেকেই সভাস্থলে দর্শকাসনের দখল নিয়ে নেয়। 

জলপথে হাওড়া থেকে কলকাতায় প্রবেশ তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের

শহিদ দিবসের মূল অনুষ্ঠান ধর্মতলার সভামঞ্চে শুরু হয়ে গিয়েছে, সেই উপলক্ষে দলে দলে তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা এখন কলকাতামুথী, হাওড়া থেকে এই ভিডিও পাঠিয়েছেন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার প্রতিনিধি

১৯৯৩ সালে যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল তাদেরকে শহিদের মর্যাদা দিয়েছিল কংগ্রেস, এরপর তৃণমূল কংগ্রেস গঠনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালনের রীতি নতুন দলে শুরু করেছিলেন, সেই থেকে মূল শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসে চলে আসে, এমন এক দিনে টুইটার পোস্টের মাধ্যমে ১৩ জন প্রয়াত কংগ্রেসকর্মীকে শ্রদ্ধা জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। 

২১ জুলাই শহিদ দিবসের জন্য আটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা, মোট ২০ জন ডিসি পদগমর্যাদার অফিসার মোতায়েন, এছাড়াও ১৫টি সিকিউরিটি জোন করা হয়েছে। এর সঙ্গে সিসিটিভি-তে মুড়ে ফেলা হয়েছে পুরো ধর্মতলা চত্বর। 

যারা ভিড়ের দৌলতে সভাস্থলের কাছে পৌঁছতে পারবেন না, তাঁদের জন্য শহরের ৮ জায়গায় বসানো হয়েছে জয়ান্ট স্ক্রিন। 

এজেসি বোস রোড, হাজরা মোড়, হাওড়া ব্রিজ, গিরিশ পার্ক, বিড়লা প্ল্যানেটরিয়াম, পার্ক সার্কার্স মোড়, চিড়িয়া মোড়--- এই সব রাস্তা দিয়ে মিছিল পৌঁচ্ছছে ধর্মতলায়, হাওড়া ও মধ্য কলকাতার নানা স্থান থেকেও মিছিল আসছে, হাওড়া ব্রিজের একটা পার পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে, বিদ্যাসাগর সেঁতুর একটা অংশ পুরোপুরি বন্ধ। ট্রেনে করে যারা আসছেন তারা শিয়ালদহ স্টেশন এবং হাওড়া স্টেশন থেকে মিছিল করে সভাস্থলে পৌঁচ্ছছেন, বাসে করে কলকাতায় যারা এসেছেন তারা বুধবার রাত পর্যন্ত বাস নিয়ে শহরে ঢুকতে পেরেছিলেন, কিন্তু বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরের বাইরে বাস দাঁড় করিয়ে সেখান থেকে মিছিল করে ধর্মতলায় পৌঁছতে হচ্ছে। ভিআইপি-দের জন্য রোড রোড এবং রানি রাসমণি রোজ খোলা রাখা হয়েছে। এই খান দিয়ে গর্ভমেন্ট প্লেস ইস্ট হয়ে ওল্ড কোর্ট হাউস স্ট্রিট  হয়ে ওয়াটারলু স্ট্রিট হয়ে বেন্টিক স্ট্রিট হয়ে ধর্মতলায় পৌঁছবেন ভিভিআইপি-রা।  

হাওড়া স্টেশন থেকে কলকাতামুখী সমস্ত রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত, এই সব রাস্তায় একমাত্র মিছিলের অনুমতি রয়েছে, বিদ্যাসাগর সেঁতু রুটে এবং হাওড়া থেকে স্ট্যান্ড রোড বলা হয়েছিল যে আংশিক খোলা থাকবে, কিন্তু মিছিলের চাপে তাতে কতক্ষণ গাড়ি চলাচল করতে পারবে তাতে সন্দেহ রয়েছে, এছাড়াও ধর্মতলামুখী লেলিন সরণি, এস এন ব্যানার্জি রোজ পুরোপুরো বন্ধ, সিআর এভিনিউ-এর সমস্ত গাড়ি সেন্ট্রালের কাছে বা তারও আগে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এক্সাইড থেকে পার্ক স্ট্রিটমুখী সমস্ত রাস্তা বন্ধ রাখা হয়েছে, এমনকী, আরও অনেক রুটে বাস চলাচাল আজ এক্কেবারে বন্ধ রাখা হয়েছে, মেট্রো চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে আজকে। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড আপাতত খোলা থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয় কালীঘাট থেকে বের হলে তার অবস্থা কী হবে তাতেও সন্দেহ রয়েছে, কারণ, ইতিমধ্যে জনপ্লাবন নেমেছে কালীঘাট এলাকায় এবং শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রোডে, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকরা দলে দলে ভিড় করছেন কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি দেখার জন্য। এমনকি নেত্রী কখন বাড়ি থেকে বের হন তার জন্য শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডের দুই পাশে মানুষ ভিড় করছেন যাতে নেত্রীর কনভয় বের হলে তারা তাঁকে অভিবাদন জানাতে পারেন। 

২১ জুলাই উপলক্ষে রাত থেকেই কলকাতার একাধিক রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এই নিয়ন্ত্রণ আরও বেশি করে লাগু হয়েছে, ফলে নিত্যযাত্রীদের আজ সকাল থেকে যানজটের দুর্ভোগে পড়েছেন। একাধিক স্থানে নিয়মিত সাধারণ পরিবহণ আজ রাস্তা থেকে হাওয়া, তারসঙ্গে নির্দিষ্ট গন্তর্ব্যে পৌঁছতে লেগে যাচ্ছে অনেকটা সময়। কোনও কোনও নিত্যযাত্রীদের মতে, বাসরুটে অন্যদিন গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে সময় লাগতো ২ ঘণ্টা, আজ সেখানে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে। 
 

২ বছর পর শহিদ দিবস প্রকাশ্যে পালন করছে তৃণমূল কংগ্রেস, ফলে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকদের ভিড় অন্য সব শহিদ দিবসকে ছাপিয়ে যাবে বলেই দাবি করছেন তৃণমূল-এর শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি অন্তত ২০ থেকে ২৫ লক্ষ মানুষের ভিড় হবে আজ শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায়। 

ইতিমধ্যেই ভরে গিয়েছে শহিদ দিবসের সভাস্থলের সামনের অংশ, তিল ধারণের জায়গা নেই, মানুষ ভোর থেকেই সভামঞ্চের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন। এমনকী, ভিড় এতটাই যে সভাস্থল থেকে জনপ্লাবন ডোরিনা ক্রসিং পার করে গিয়েছ, এর অর্থ যে এখন যারা শহিদ দিবসের সভাস্থলে পৌঁচ্ছছেন  তাঁদেরকে অনেকটা পিছনে বসতে হবে অথবা দাঁড়াতে হবে।