অবশেষে স্বস্তি ফিরল পান্ডে পরিবারে। কদিন আগেই করোনায় সংক্রমিত হন রাজ্য়ের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পান্ডের স্ত্রী। শ্যালকের করোনায় মৃত্যুর পর যা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান তৃণমূলের নেতা। যদিও এবার কোভিডের দ্বিতীয় রিপোর্টেও স্ত্রীর করোনা নেগেটিভ আসায় হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন তিনি। জানা গিয়েছে, মেয়ে শ্রেয়ারও রিপোর্টে নেগেটিভ এসেছে।
তবে এখনই স্বাভাবিক হচ্ছে না মন্ত্রীর পরিবারের জীবনযাত্রা। আপাতত আরও ১৪ দিন বাড়িতেই কাটাতে হবে তাদের। নিজেও হোম আইসোলেশনে রয়েছেন সাধন পান্ডে। গত রবিবার আমরি হাসপাতালে তাঁর শ্যালক শংকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের করোনায় মৃত্যু হয়। পরবর্তীকালে করোনা পরীক্ষা হয় মন্ত্রীর পরিবারের। তাতে তাঁর স্ত্রী’র রিপোর্ট পজিটিভ আসে। হোম আইসোলেশনে থাকতে শুরু করেন সুপ্তি দেবী৷ এবার চিন্তা দূর হল তার।
রাজ্য়ের সাম্প্রতিক করোনা চিত্র বলছে, এর আগে রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু করোনায় আক্রান্ত হন। বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। পরে অবশ্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। যদিও বাড়ির মুখ দেখতে পারেননি তৃণমূলের আরেক বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ।
কদিন আগে দলের আমফান দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন সাধন পান্ডে। যদিও ঘাসফুল ব্রিগেডের এই বক্তব্য লোক দেখানো বলে মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন,সব জেনেও না জানার ভান করছেন প্রশাসন। দল থেকে তাড়িয়ে কী হবে। দম থাকলে দলের দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করুক মমতার সরকার।
সাধনবাবু বলেন, ত্রাণের দুর্নীতিকারাদের পার্টি শাস্তি দিক। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হোক। আমার মতে, দুর্নীতিগ্রস্থদের দল থেকে বের করে দেওয়াটাই শেষ কথা নয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হোক। তবে এই প্রথমবার নয়, অতীতেও আমফান নিয়ে পুরসভার সমালোচনা করেছিলেন তৃণমূলের এই নেতা। যা নিয়ে দলে শোকজের মুখে পড়তে হয় তাকে।