করোনা আতঙ্ক এবার থাবা বসাল রাজ্য়ের পুরসভা নির্বাচনেও। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, রাজ্য়ের পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করবে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার রাজ্য়নির্বাচন কমিশনের কাছে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই আবেদন করবে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের দল। শোনা যাচ্ছে, এতে সায় থাকবে বিজেপিরও।
এদিন বিকেলেই বারাসতে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, রাজ্য় নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোট পিছোনোর কথা বলবে না বিজেপি। করোনা নিয়ে আতঙ্ক থাকলেও নিজেরা এ বিষয়ে আগ বাড়িয়ে কিছু বলবে না। এদিন তিনি বলেন, করোনা যখন মহামারীর আকার ধারাণ করেছে,তখন রাজ্য নির্বাচন কমিশন বৈঠক ডাকছে। সেখানে ভোট কীভাবে হবে সেটাই আলোচ্য । আমি ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুললেই তৃণমূল বলবে বিজেপি পালিয়ে যাচ্ছে ।
সূত্রের খবর, আগামী ১৯ এপ্রিল কলকাতা ও হাওড়ায় পুর নির্বাচনের নির্ঘণ্টা ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। সেক্ষেত্রে বাকি পুরসভাগুলির নির্বাচন হওয়ার কথা এপ্রিলের ২৮ তারিখ। কিন্তু সেইে পরিকল্পনা আপাতত বিশ বাঁও জলে। রাজ্য়ে একের পর এক স্কুল, কলেজ উচ্চ প্রতিষ্ঠানে ছুটির নোটিশ পড়ায় চিন্তা বেড়েছে সবার মনে। করোনার কারণে আপাতত নির্বাচনেও ধীরে চলো নিতে নিতে পারে নির্বাচন কমিশন। অন্তত রাজ্য় রাজনীতির হাওয়া মোরগ সেই কথাই বলছে।
সোমবার নির্বাচন কমিশনের সর্বদলীয় বৈঠক। আগামীকালই রাজ্য়ের রাজনৈতিক দলগুলির ২জন করে প্রতিনিধিকে সর্বদলীয় বৈঠকে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। সেখানে নির্বাচনী আচরণবিধি সম্পর্কে প্রতিটি দলকে নির্দেশিকা দেওয়ার কথা। কিন্তু করোনা কাঁটায় সেই বৈঠক থেকে কী সারবস্তু বেরিয়ে আসবে তা কেউ জানেন না।
করোনা আতঙ্কে জমায়েত প্রচারে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সরকারিভাবে না বললেও দলের মিছিল এখন এড়িয়েই চলছে প্রায় রাজ্য়ের সব দল। বেগতিক দেখে এবার পুরনির্বাচনই পিছিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে সবাই। শোনা যাচ্ছে শীঘ্রই এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানাতে পারে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এই তালিকায় সবার ওপরে শোনা যাচ্ছিল বিজেপির নাম। যদিও সেই দাবি,নস্যাৎ করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, রাজ্য়ে পুরভোটের দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে বিজেপি। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, আমরা তো নির্দিষ্ট সময়ে ভোট চাইছি। ওনারাই তো সব কিছু কোর্টে নিয়ে দেরি করান। তবে করোনা বিপত্তির কথা মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় নিজে ঘোষণা করার পর তৃণমূল আর ভোট পিছোনোর জন্য় বিজেপির দিকে আঙুল তুলতে পারবে না।