এখন গরম পড়েনি। তবু বসন্তের শুরুতেই খনি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে ডায়েরিয়া।
পারবেলিয়া কোলিয়ারি থেকে পুরুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় জল সরবরাহ করা হয়। আর সেই জল খেয়েই নেতুড়িয়া ব্লকের বেশ কিছু এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে ডায়েরিয়া। অন্তত তেমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্য়েই জল পরীক্ষার জন্য় পাঠানো হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্য়া ইতিমধ্য়েই দেড়শো ছাড়িয়েছে।
পুরুলিয়ার এই নেতুড়িয়া ব্লকের সালতোর গ্রাম পঞ্চায়েতের আমডাঙা্, ৮ নম্বর কলোনি, ৩ নম্বর কলোনি, স্কুল ক্য়াম্পে এখনও অবধি ডায়ারেয়িরা আক্রান্তের সংখ্য়া দেড়শো ছাড়িয়েছ। বমি-পায়খানার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছেন প্রায় ৪০জন। শুক্রবার এই এলাকাগুলোতে যান নিতুড়িয়া ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অজয় কুমার সামন্ত, স্বাস্থ্য় আধিকারিক সুভাষ মাহাতো, নেতুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি শান্তিভূষণ প্রসাদ যাদব ও সালতোর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিত সাগর প্রসাদ যাদব।
এদিন প্রশাসনিক আধিকারিকরা এই এলাকাগুলোতে গিয়ে বাড়ি-বাড়ি খোঁজখবর নেন। জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন। আক্রান্তদের মধ্য়ে যাঁরা হাসপাতালে যেতে পারছেন না তাঁদেরকে যাতে বাড়িতেই স্য়ালাইন দেওয়া যায়, তার বন্দোবস্তও করে গিয়েছেন তাঁরা।
পারবেলিয়া কোলিয়ারি অঞ্চল থেকে জল সরবরাহ করা হয় এলাকাগুলোতে। তাই এদিন পারবেলিয়া কোলিয়ারির ম্য়ানেজারের সঙ্গে জেলার স্বাস্থ্য় আধিকারিকরা বৈঠক করেন। ব্লক স্বাস্থ্য় আধিকারিক সুভাষ মাহাতো জানান, "প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে জলের জন্য়ই এই ডায়েরিয়া ছড়িয়েছে। ইতিমধ্য়েই জল পরীক্ষার জন্য় পাঠানো হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্য়েই রিপোর্ট পাওয়া যাবে। তারপর সেই অনুযায়ী ব্য়বস্থা নেব আমরা।"
এখনও গরম পড়েনি। এরই মধ্য়ে এলাকায় ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা যাওয়ায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা।