বাংলার রাজনীতিতে ইন্দ্রপতন, চলে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র

  • প্রয়াত  বর্ষীয়ান রাজনীতিক সোমেন মিত্র
  • মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর
  •  প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে ছিলেন তিনি
  • দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু

Asianet News Bangla | Published : Jul 30, 2020 2:28 AM IST / Updated: Jul 30 2020, 10:09 AM IST

প্রয়াত বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। দক্ষিণ কলকাতায় একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে বুধবার গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। অসুস্থতার কারণে ২১ জুলাই থেকে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল রাতে  তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে।

সোমেন মিত্রের প্রয়াণে বাংলার রাজনীতিতে একটা অধ্যায়ের অবসান হল। হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে গত বেশ কয়েকদিন ধরেই ভর্তি ছিলেন শহরের ওই বেসরকারি হাসপাতালে। পুরনো পেসমেকার বদল করার কথা ছিল তাঁর। গত কয়েকদিন যাবৎ চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছিলেন বলে, হাসপাতাল সূত্রে খবর। কিন্তু আচমকাই, গতকাল রাতে অবস্থার অবনতি হয়। রাত ১টা ৫০ নাগাদ মৃত্যু হয় সোমেন মিত্রের। 

আরও পড়ুন: সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এসেছিল অনেক উত্থান-পতন, কীভাবে সকলের 'ছোড়াদা' হয়েছিলেন সোমেন মিত্র

সোমেনবাবুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার নার্সিং হোমে তিনি হাঁটাচলা করেছিলেন। পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। কিন্তু বেশি রাতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন। রাতেই প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে টুইট করে সভাপতির প্রয়াণের কথা জানানো হয়।  তাঁর শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ডায়ালিসিস করতে হচ্ছিল। তবে মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁর অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল।

আরও পড়ুন: বরকত গনিখানের শিষ্য হয়ে উঠেছিলেন কংগ্রেসের 'ছোড়দা', সোমেন মিত্রের প্রয়াণ এক অধ্যায়ের অবসান

দীর্ঘদিন ধরেই হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। সাধারণত দিল্লি এইএমসেই  চিকিৎসা করাতেন তিনি। কিন্তু এবার দেশে লকডাউন চলায় দিল্লি যেতে পারেননি। নিশ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হওয়ায় পারিবারিক চিকিৎসকের পরামর্শে ২১ জুলাই বেলভিউ হাসপাতালে ভর্তি হন। সঙ্গে সামান্য জ্বরও ছিল সোমেন মিত্রের। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আইসিইউতে রাখতে হয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে। জ্বর-সর্দি থাকায় করোনা পরীক্ষাও করা হয়েছিল। যদিও সেই রিপোর্ট আসে নেগেটিভ।


 

Share this article
click me!