রাজ্য়ে একদিনে করোনা নিয়ে মৃত্যু ৩৬ জনের, রেকর্ড ভেঙে আক্রান্ত ২২৭৮

  • প্রতিদিন রাজ্য়ে রেকর্ড ভাঙছে করোনা
  • এবার মৃত্যুর ক্ষেত্রেও রেকর্ড গড়ল করোনা
  •  একদিনে রাজ্য়ে সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের
  • ২৪ ঘণ্টায় ২২৭৮ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন 

Asianet News Bangla | Published : Jul 19, 2020 3:50 PM IST / Updated: Jul 19 2020, 09:21 PM IST

প্রতিদিন রাজ্য়ে রেকর্ড ভাঙছে করোনা। আক্রান্তের সংখ্যায় আগেই বাড়তে শুরু করেছে গ্রাফ। রবিবারের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন বলছে,এবার মৃত্যুর ক্ষেত্রেও রেকর্ড গড়ল করোনা। একদিনে রাজ্য়ে সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৭৮ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন রাজ্য়ে। পরিস্থিতি যে রীতিমতো উদ্বেগজনক তা স্বীকার করছেন খোদ স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।

সব মিলিয়ে রাজ্যে এখন মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪২ হাজার ৪৮৭। করোনা নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১১২ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সুস্থও হয়েছেন  ১৩৪৪ জন। এই মুহূর্তে করোনা অ্যাকটিভ রয়েছে ১৬ হাজার ৪৯২ জনের দেহে। তবে খারাপ খবর, করোনায় রাজ্যের ডিসচার্জ রেট কমে গেছে, ৫৮.৫৬ শতাংশ।
ফের করোনা ইস্যুতে রাজ্য়কে চিঠি পাঠাল কেন্দ্র। চিঠিতে রাজ্য়ের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব অগরওয়াল। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও অসম, বিহার ও ওড়িশাকে চিঠি পাঠিয়েছে মোদী সরকার।

রাজ্য়ের বর্তমান পরিস্থিতি  বলছে, প্রতিদিনই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গতকালই এই সংখ্যাটা সব রেকর্ড ব্রেক করে দিয়েছে। রাজ্য়ে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া দাঁড়িয়েছে ২১৯৮। মূলত, কলকাতা, হাওড়া ,উত্তর ২৪ পরগণা ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার অবস্থা উদ্বেগজনক। যদিও  রাজ্যকে পাঠানো কেন্দ্রের চিঠিতে বলা হয়েছে, কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনার পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম পুরুলিয়া, নদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও হুগলিও ক্রমাগত সংক্রমণের লাল তালিকায়  চলে এসেছে। 

পরিসংখ্য়ান বলছে, গত চার দিনে  পশ্চিমবঙ্গে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৬০০। আক্রান্তদের ৯৩ শতাংশই এই হটস্পটগুলির বাসিন্দা। গত তিন সপ্তাহে লাফিয়ে পশ্চিমবঙ্গে করোনার গ্রাফ উল্লেখযোগ্যভাবে ঊর্ধ্বমুখী। এর পিছনে টেস্টের সংখ্য়া কম হওয়াকেই দায়ী করেছেন লব অগরওয়াল। চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতীয় গড়ের থেকে রাজ্যে টেস্ট কম হচ্ছে রাজ্য়ে। 

মূলত, রাজ্য়ে কোভিড১৯-এ মৃত্যুর হার যাতে ১ শতাংশের নীচে থাকে, তা মমতার সরকারকে নিশ্চিত করতে বলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য় মন্ত্রকের গাইডলাইন। কন্টেইনমেন্ট জোন ও বাফার জোনে কঠোরভাবে নিয়ম মানতে বলা হয়েছে।  কেস ম্যাপিং করে কন্টেনমেন্ট ও বাফার জোন নির্দিষ্টের কথা বলেছে স্বাস্থ্য় মন্ত্রক।  পাশাপাশি ৮০% আক্রান্তের সংস্পর্শে কারা এসেছেন, তার তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে রাজ্য়কে। 
 

Share this article
click me!