কে এই রোদ্দুর রায়। রোদ্দুর রায়ের আসল নাম , অর্নিবাণ রায়। পেশায় দিল্লিতে কর্মরত একজন আইটি কর্মচারী ছিলেন। পরবর্তী চেতনা বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তাঁর এই বিকৃত গান কবিতা আসলে গবেষণার বিষয় বস্তু। মঙ্গলবার গোয়ায় গিয়ে রোদ্দুর রায়কে গ্রেফতার করেছেন লালবাজারের সাইবার সেলের কর্তারা।
গোয়া থেকে গ্রেফতার রোদ্দুর রায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে নিয়ে সদ্য করা ফেসবুক লাইভে অশালীন মন্তব্য করেছে রোদ্দুর রায়। এরপরেই রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে চিৎপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তৃণমূল নেতা ঋজু দত্ত। পাশাপাশি হেয়ার স্ট্রিট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। লালবাজারের সাইবার সেলের কর্তারা মঙ্গলবার গোয়ায় গিয়ে রোদ্দুর রায়কে গ্রেফতার করেছেন।
'দিদি' সম্বোধন করে কুরুচিকর মন্তব্য করেন রোদ্দুর রায়
সম্প্রতি ফেসবুক লাইভ করেছিলেন রোদ্দুর রায়। দেড় ঘন্টার সেই লাইভে একাধিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি। নিজস্ব ভঙ্গিতেই আক্রমণ করেন বিশিষ্ট জনকে। সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। লাইভে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন রোদ্দুর রায়। আর তারপর পরই রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে চিৎপুর থানায় লিখিত অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল নেতা ঋজু দত্ত। একদিকে যেমন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং মিটিং মিছিল হলে রাস্তায় সাধারণ মানুষ ভুক্তভুগি হয়ে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে কুরুচিকর মন্তব্য করেন রোদ্দুর রায় ওই ফেসবুক লাইভে। অপরদিকে অভিষেকের বাইক সফর নিয়েও কটা করে অশালীন ভাষায় কথা বলেন। আর এরপরেই স্বাভাবিকভাবেই চটে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন, মিলল সিসিটিভি ফুটেজ, পরিচিত কেউ কি এসেছিলেন ? ভবানীপুর জোড়া খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
পরিচালক কৌশিক মুখোপাধ্যায় ওরফে কিউ ফেসবুকে রোদ্দুর রায়ের গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি প্রথম জানান
তবে গায়ক কেকে ইস্যু নিয়ে রূপঙ্করকেও কথা বলতে ছাড়েননি তিনি। সেখানেও রাজ্য প্রশাসনের কথা এসেছে। সেদিন নজরুল মঞ্চে উপস্থিত থাকা মদন মিত্রকেও অশালীন ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যায় রোদ্দুর রায়কে। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে 'দিদি' সম্বোধন করে তিনি কুরুচিকর মন্তব্য করেন। নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠক নিয়েও কথা বলেন তিনি। পরিচালক কৌশিক মুখোপাধ্যায় ওরফে 'কিউ' ফেসবুকে রোদ্দুর রায়ের গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি প্রথম জানান। তারপরে কলকাতা পুলিশের পদস্থ অফিসারেরাও স্বীকার করে নেন বিষয়টি।
আরও পড়ুন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় প্রবল বর্ষণ, কলকাতা-দক্ষিণবঙ্গের কপাল খুলল কি
'যুক্তি আছে ওর কথায়'
প্রসঙ্গত, বরাবরাই তিনি বিতর্কিত মন্তব্য কিংবা অশালীন ভাষা প্রয়োগ করে এসেছেন, তা সে যে হোক না কেন। সেলেব থেকে রাজনীতিবিদ বরাবরই তার তীব্র আক্রমণের শিকার। তবে প্রথম দিকের মতো এখন আর প্রতিক্রিয়া নয়, যুব সমাজের। ধীরে ধীরে রোদ্দুর রায়কে নিয়ে প্রতিক্রিয়া বদলেছে কমবেশি সবারই। এখন ইয়ং জেনারেশন তাঁর মন্তব্য়ে শুধুই হাসে না, সঙ্গে বলে 'মোটেই পাগল নয়', 'উচিত শিক্ষা দিয়েছে', 'খিস্তি ওষুধের মতো কাজ করবে', 'যুক্তি আছে ওর কথায়', ইত্যাদি ইত্যাদি। বিশেষ করে তা আরও বেড়ে ওঠে রূপঙ্করের 'হু ইজ কেকে', বলার পর। তবে রোদ্দুর রায়ের লাইভে জন দরদি বাক্যও শোনা গিয়েছে। যেখানে তিনি বলেছেন, উন্নয়নের কথাও।
আরও পড়ুন, আজ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ৫১০ যুগলের বিয়ে দেবেন মমতা, লক্ষ্য কি আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক
কে এই রোদ্দুর রায় ? চেতনা বিজ্ঞান নিয়ে তাঁর গবেষণা
তবে এবার প্রশ্নটা এসেই যায়, কে এই রোদ্দুর রায়। রোদ্দুর রায়ের আসল নাম , অর্নিবাণ রায়। পেশায় দিল্লিতে কর্মরত একজন আইটি কর্মচারী ছিলেন। পরবর্তী চেতনা বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তার এই বিকৃত গান কবিতা আসলে গবেষণার বিষয় বস্তু। 'অ্যান্ড স্টেলা টার্নস আ মম' নামে মনোবিজ্ঞানের একটি বইও লিখেছেন তিনি। এছাড়াও বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী থাঙ্কমণি কুট্টির সঙ্গেও লেখক হিসেবে কাজ করেছেন রোদ্দুর রায়।