
জানেন কি মাথায় মাখার পাশাপাশি নারকেল তেল ত্বকেও মাখতে পারেন। শীত গ্রীষ্ম বছরের যেকোনো সময়ে নাইট ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এই আর্দ্র গরমে আপনার ত্বককে ম্যাজিকের মতো সুস্থ ও ঝলমকে রাখবে নারকেল তেল। ত্বক নরম ও চকচকে করে তুলবে। অতিরিক্ত তৈলাক্ততার কারণে শুধু নারকেল তেল মুখে মাখতে না পারলে তৈরী করে নিন ফেস প্যাক। তাতেও মিলবে ত্বকে উপকার।
নারকেল তেলের মধ্যে লিনোলেনিক অ্যাসিড ও লরিক অ্যাসিড থাকে, যার মধ্যে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। যা মুখের ব্রণ ও সংক্রমণজনিত যে কোন প্রদাহ জনক সমস্যার সমাধান করতে পারে। বয়স কালের বার্ধক্য জনিত ছাপ বা বলিরেখা, রোদে পোড়া ত্বকের কালচে ভাব দূর করতে, ত্বকের খসখসে ভাব সমস্তই নারকেল তেল দূর করতে সক্ষম। নাইট করিম না থাকলে রাতে শোয়ার আগে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে মেখে দেখুন, উপকারিতা পাবেন ভালোই। তবে ত্বকে কিছুদিন মাখার পর যদি মুখে ব্রণ ওঠে তবে তৎক্ষণাত মাখা বন্ধ করুন।
বাড়িতে নারকেল তেলের ফেসপ্যাক যেভাবে বানাবেন দেখে নিন।
১ বা ২ চা চামচ খুব মিহি করা চালের গুঁড়ো,
১ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল। চেষ্টা করবেন ভালো মানের গাছের তাজা পাতা থেকে সংগ্রহ করার,
১ বা ২ চা চামচ কাঁচা দুধ। প্রয়োজনে কম বেশি করে নিতে পারেন মিশ্রনের ঘনত্ব ঠিক করার জন্য,
আধ চা চামচ নারকেল তেল (তেল কোল্ড প্রেস্ড বা এক্সট্রা ভার্জিন হলে ভালো হয়)
একটি পরিষ্কার ছোট পাত্রে আগে পরিমাণ মতো নারকেল তেল ঢেলে উষ্ণ গরম করে নিন। অ্যালোভেরা পাতা থেকে আগে সাবধানে চেঁছে থকথকে জেল টা বের করে নিন। তবে প্রসেসড অ্যালোভেরা জেল হলেও চলবে। এবার ফেসপ্যাকের মিশ্রণটি তৈরী করার জন্য একে একে পরিমাণ মতো চালের গুঁড়ো ও অ্যালোভেরা জেল নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন যাতে কোনো মোটা দানা না থাকে। মিশ্রনের ঘনত্ব ঠিক রাখতে অল্প অল্প করে কাঁচা দুধ ঢালতে থাকুন ও ফেটাতে থাকুন। মিশ্রণটির মুখে প্যাকের মতো লাগানোর ঘনত্ব এসে গেলেই এবার উষ্ণ গরম নারকেল তেলটা ঢেলে আবার মিশিয়ে নিন ভালো করে। তবে দেখবেন যাতে কোনো শক্ত দানা বা দলা বেঁধে না থাকে কিছু।
প্রথমেই মুখ ও গলা ভালোভাবে ফেস ওয়াশ দিয়ে ধুয়ে, মুছে শুকিয়ে নিতে হবে। এবার কোনো নরম ব্রাশ বা আঙুলের সাহায্যেই আলতো করে মুখে ও গলায় সমানভাবে মেখে নিতে হবে। চোখের বেশি কাছে বা ঠোঁটের ওপর মাখবেন না এই মিশ্রণ। প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর প্যাকটি মুখের ওপর শুকিয়ে এসেছে কিনা দেখুন। তবে পুরো শুকিয়ে মুখে টান যেন না ধরে যায়। এবার সামান্য জল ছিটিয়ে আলতো হাতে মুখ ও গলা ঘষে নিন। হয়ে গেলে উষ্ণ গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে, একটা ভেজা তোয়ালে বা নরম কাপড় দিয়ে মুখ মুছে পরিষ্কার করে নিন। প্রয়োজনে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিতে পারেন এর পর। সপ্তাহে অন্তত ১ বার বা সময় থাকলে হাতে ২ বারও ব্যবহার করতে পারেন।