
নতুন জামা না ধুয়ে পরলে রাসায়নিক, জীবাণু, ছত্রাক, এবং অন্য মানুষের ঘাম ও ত্বকের সমস্যা শরীরে প্রবেশ করতে পারে। যা ত্বকে র্যাশ, চুলকানি, অ্যালার্জি বা সংক্রমণ ঘটাতে পারে, তাই জামা কেনার পর অবশ্যই নতুন জামাও যেগুলো ধোঁয়া যায় সেগুলি ধুয়ে পড়া উচিত। এর সমাধান হলো, প্রতিটি নতুন পোশাক হালকা গরম জলে সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ইস্ত্রি করে তারপর পরা, এতে রাসায়নিক ও জীবাণু দূর হয় এবং ত্বক সুরক্ষিত থাকে।
*নতুন জামা না ধুয়ে পরার কুফল*:
রাসায়নিকের ঝুঁকি: কাপড়ে ফরমালডিহাইড, অ্যাজো ডাই-এর মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকতে পারে, যা ত্বকের সংস্পর্শে এলে র্যাশ, চুলকানি, একজিমা এবং ত্বকের সংক্রমণ (skin infection) হতে পারে।
জীবাণু ও ছত্রাক: বহু হাত ঘুরে আসা পোশাকে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাকের জীবাণু লেগে থাকতে পারে, যা ত্বকের সমস্যা তৈরি করে।
অ্যালার্জি: ট্রায়াল দেওয়ার সময় বা দোকানে পোশাক ট্রায়াল করার সময় অন্যের ঘাম বা ত্বকের জীবাণু লেগে থাকতে পারে, যা সংবেদনশীল ত্বকে অ্যালার্জির কারণ হয়।
ফর্মালডিহাইড: কিছু পোশাকে ব্যবহৃত ফরমালডিহাইড সংবেদনশীল ব্যক্তিদের শ্বাসকষ্ট বা অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।
সমাধান:
ধোয়ার পদ্ধতি: নতুন পোশাক পরার আগে হালকা গরম জল ও মৃদু সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।
ইস্ত্রি করা: ধোয়ার পর ইস্ত্রি করলে অবশিষ্ট জীবাণুও মরে যায়।
কাপড় নির্বাচন: পলিয়েস্টারের মতো সিন্থেটিক কাপড়ে রাসায়নিক বেশি থাকে, তাই সুতির মতো প্রাকৃতিক কাপড়ের পোশাক বেছে নিন।
বিশেষ সতর্কতা: শিশুদের জন্য পলিয়েস্টারের পোশাক এড়িয়ে চলাই ভালো।
মনে রাখবেন, নতুন জামা ধোয়া একটি ছোট পদক্ষেপ যা আপনাকে অনেক বড় স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারে।