
Natural Skincare: রূপচর্চায় চন্দন নতুন কিছু নয়। ত্বকের যত্নে প্রাচীনকাল থেকেই চন্দনকাঠের ব্যবহার হয়ে আসছে। আয়ুর্বেদেও যথেচ্ছ উল্লেখ আছে এর অপরিসীম ক্ষমতার। প্রাকৃতিক উপাদানে ভরপুর চন্দনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, প্রদাহনাশক ও জীবাণুনাশক গুণাগুণ, যা ত্বকের নানা সমস্যায় চটজলদি সমাধান দিতে পারে। নিয়মিত ব্যবহারে কোমল ও উজ্জ্বল ত্বক পেতে পারেন আপনিও।
১. ব্রণ দূর করে
চন্দনকাঠের গুঁড়োতে রয়েছে প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক ও অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ। এটি ত্বকের লালচে ভাব কমায় ও ব্রণর জীবাণু ধ্বংস করে। তৈলাক্ত ত্বকে অতিরিক্ত সেবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক।
২. ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনে
ত্বকে চন্দন ব্যবহার করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়, মৃত কোষ দূর হয়। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে আরও উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের কালো দাগ ও ছোপও হালকা হয়ে যায়।
৩. সানবার্ন প্রশমিত করে
চন্দনের ঠান্ডা ভাব ত্বকের জ্বালা, ফুসকুড়ি বা সানবার্নে দ্রুত আরাম দেয়। চন্দনের পেস্ট লাগালে রোদে পোড়া ত্বকে তাৎক্ষণিক শীতলতা পাওয়া যায় এবং ত্বকের ক্ষত দ্রুত সারতে সাহায্য করে।
৪. অকাল বার্ধক্যের ছাপ কমায়
চন্দনে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, যা বলিরেখা, ফাইন লাইনস ও চামড়া ঝুলে যাওয়া কমাতে সাহায্য করে। চেহারায় বয়সের ছাপ পড়া ঠেকাতে চন্দন কার্যকর একটি প্রাকৃতিক উপাদান।
৫. তৈলাক্ত ত্বকে সহায়ক
চন্দন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য দারুণ উপযোগী। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখে, ত্বকে সীমাম নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব কমায়। দীর্ঘক্ষণ ফ্রেশ থাকে মুখ।
উপকরণ:
প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহারবিধি
সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। মুখে সমানভাবে মেখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন। এবার হালকা উষ্ণ গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করলেই ত্বকে মিলবে চোখে পড়ার মতো জৌলুস।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।