
শীতের শুষ্কতা থেকে চুল বাঁচাতে, শীতে চুলের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এর জন্য কুসুম গরম তেল দিয়ে নিয়মিত ম্যাসাজ করা, শ্যাম্পু করার সময় হালকা গরম জল ব্যবহার করা, এবং কেমিক্যালযুক্ত পণ্য ও হেয়ার ড্রায়ারের ব্যবহার কমানো উচিত। এছাড়াও, প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং প্রতি সপ্তাহে ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক ব্যবহার করলে চুল সুস্থ থাকবে।
*** শীতের আগে চুলের যত্ন নেওয়ার নিয়মাবলী :
১. তেল ম্যাসাজ এবং আর্দ্রতা বজায় রাখা
কুসুম গরম তেল: নারকেল বা অলিভ অয়েলের মতো তেল হালকা গরম করে নিয়মিত মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। এটি চুলের গোড়া মজবুত করতে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে।
সঠিক শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার: উচ্চ মানের ও ময়েশ্চারাইজিং শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু করার পর ভালো মানের কন্ডিশনার ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
লিভ-ইন কন্ডিশনার: তোয়ালে দিয়ে চুল মোছার পর লিভ-ইন কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল কোমল ও উজ্জ্বল থাকে।
২. চুলের ক্ষতি করে এমন অভ্যাস ত্যাগ করা
হেয়ার ড্রায়ার পরিহার: অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা জল ব্যবহার না করে হালকা গরম জল ব্যবহার করুন। হেয়ার ড্রায়ার বা অন্য কোনো হিট স্টাইলিং সরঞ্জাম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
কেমিক্যাল-ফ্রি পণ্য: কেমিক্যালযুক্ত হেয়ার ডাই বা অন্যান্য পণ্য ব্যবহার বন্ধ করুন। এর ফলে চুল আরও শুষ্ক এবং দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
৩. চুলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি
পুষ্টিকর খাবার: প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার যেমন - ফল, সবজি এবং বাদাম খান। এটি ভেতর থেকে চুলকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
মাসে একবার ডিপ কন্ডিশনিং: সপ্তাহে অন্তত একবার একটি ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক ব্যবহার করুন। এটি চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং চুলের রুক্ষতা কমাতে সাহায্য করে।
৪. অন্য টিপস:
* আঁচড়ানো: চুল আঁচড়ানোর সময় বা ঘর্ষণের সময় যাতে অতিরিক্ত চুল না ছিঁড়ে যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। এক্ষেত্রে কাঠের চিরুনি ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
* দূষণ: শীতকালে দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় চুলের ক্ষতি হতে পারে। তাই বাইরে বেরোনোর সময় চুল ঢেকে রাখা ভালো।