
বাজারে পাওয়া ব্যয়বহুল বিউটি প্রোডাক্ট (Beauty product) আমরা প্রায়ই কিনি। কিছু রাসায়নিক আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানোর পরিবর্তে ক্ষতি করে। টাকা খরচ করে ত্বকের সৌন্দর্য (skin beauty) নষ্ট করার চেয়ে আমাদের রান্নাঘরে থাকা উপাদান ব্যবহার করে সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে পারি। আমরা প্রতিদিন যে জিনিসগুলো ফেলে দেই, সেগুলোই আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারে। আমাদের ত্বকের কালো দাগ দূর করতে পারে। এই তালিকায় ভাতের জলও রয়েছে।
মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ভাত বিভিন্ন উপায়ে আমাদের সাহায্য করে। ভাত এবং ভাতের জল বহু বছর ধরে সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ভাত, ত্বকের যত্নে অগ্রগণ্য। ভাতের গুঁড়োর ফেস প্যাক, ভাতের জল দিয়ে ফেস টোনার তৈরি করা অনেকেরই জানা। আজ আমরা ভাতের জলের আইস কিউব কিভাবে তৈরি করবেন, কিভাবে ব্যবহার করবেন এবং এর উপকারিতা কি তা জানবো।
ভাতের জলের আইস কিউব (Rice Water Ice Cube) তৈরি করবেন যেভাবে : ভাতের জলের আইস কিউব দুইভাবে তৈরি করতে পারেন। প্রথমত, ভাত ভালো করে ধুয়ে, একটি পাত্রে ভাত দিয়ে জল দিয়ে ভাত রান্না করুন। ভাত হয়ে গেলে ভাতের উপরের দুধের মতো জল (তরল) নিয়ে আইস কিউব ট্রেতে ঢেলে ফ্রিজে রাখুন।
অন্য পদ্ধতিতে আপনাকে ভাত রান্না করতে হবে না। ভাত তিন-চার বার জল দিয়ে ধুয়ে নিন। তারপর আবার জল দিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। তারপর জল ছেঁকে নিয়ে আইস কিউব ট্রেতে ঢেলে ফ্রিজে রাখুন। চার ঘণ্টা পর আইস কিউব তৈরি হয়ে যাবে।
ভাতের জলের আইস কিউব ব্যবহারের পদ্ধতি : ভাতের জলের আইস কিউব প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন। কিউবটি আস্তে আস্তে আপনার মুখে ঘষতে হবে।
ভাতের জলের আইস কিউবের উপকারিতা : ভাতের জল ত্বককে রোদ থেকে রক্ষা করে। এটি ত্বক টানটান করে। চোখ এবং মুখ ফুলে গেলে তা কমায়। ত্বকে বড় ছিদ্র থাকলে তা ছোট করে। ত্বকের আঠালো ভাব কমায়। ব্রণ, কালো দাগ এবং ডার্ক সার্কেলও কমায়। ভাতের জলে বয়সের ছাপ কমাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটি মুখে উজ্জ্বলতা দেয়। ভাতের জলে অ্যামিনো অ্যাসিডের সাথে অনেক ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। ভাতের জলে ইনোসিটল নামক কার্বোহাইড্রেটও থাকে। এটি ত্বক এবং চুলের জন্য ভালো। একবার তৈরি করা ভাতের জলের আইস কিউব চার থেকে পাঁচ দিন ব্যবহার করতে পারেন।