
মেয়েদের প্রসাধনী দ্রব্যের জুড়ি মেলা ভার। অনলাইনে হোক বা শপিংমলে বিভিন্ন প্রসাধনী দ্রব্যের ওপর ছাড় থাকলেই ভিড় উপচে পড়ে তা কেনার জন্য। বাজারে বিভিন্ন দামের প্রসাধনী দ্রব্যের সমাহার। কমবেশি সকলেই ব্র্যান্ডের দিকে ছোটে। তবে সেসব রূপটানের জিনিসগুলি দামও থাকে আকাশ ছোঁয়া। তবে সব সময় নামিদামি কোম্পানির লিপস্টিক ,নেলপলিশ , আইলাইনার, মাস্কারা, ব্লাশার কেনাও হয় না বা কেনা থাকলেও সব সময় তা সবগুলো ব্যবহার করাও হয়ে ওঠেনা। সে ক্ষেত্রে একটা সময়ের পরে সেই প্রসাধনের দ্রব্য গুলি শুকিয়ে যেতে শুরু করে।
সেক্ষেত্রে শুকিয়ে যাওয়া প্রসাধনী দ্রব্য গুলি আবারও সঠিক উপায় ব্যবহার করার উপযোগী করে তোলার কিছু পদ্ধতি আছে জেনে নিন। যেমন লিপস্টিক ব্র্যান্ডেড হোক বা লোকাল কমবেশি আমরা অনেকেই ব্যবহার করতে ভালোবাসি। কিন্তু লিপস্টিক অনেক সময় গলে যায় বা ভেঙে যায়, ব্যবহারযোগ্য আর থাকে না। সে ক্ষেত্রে লিপস্টিকের সঙ্গে যদি পেট্রোলিয়াম জেলি মিশিয়ে মেল্ট করে একটি কাঁচের পাত্রে রেখে দেওয়া হয় তাহলে সেটা তৈরি হয়ে যায় সুন্দর একটি লিপ বামে। সেরকমই ভালো দাম দিয়ে কেনা ভালো ফাউন্ডেশন অনেক সময় শুকিয়ে যায়।
এক্ষেত্রে একটাই করনীয় সেই ফাউন্ডেশনের শিশি তে যদি কয়েক ফোঁটা অ্যালোভেরা জেল বা ময়েশ্চারাইজার দিয়ে মিশিয়ে ভালো করে রেখে দেওয়া হয় তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে পুরনো ফাউন্ডেশন থেকে একটা নতুন ফাউন্ডেশন। উল্টোদিকে মাসকারা একটি তরল প্রসাধনী পদার্থ। সেক্ষেত্রে মাস্কারা বেশি দিন থাকে না। ব্যবহার হোক বা না হোক তাড়াতাড়ি শুকিয়েই যায়। সেক্ষেত্রে মাছ করার ভেতরে যদি কয়েকফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে রাখা যায় তাহলে তা একেবারে নতুন হয়ে থাকে। ঠিক এরকমই আইলাইনারও তরল প্রসাধনী।
সে ক্ষেত্রে আইলাইনারের শিশিতে খানিকটা মেকআপ ফিক্সিং স্প্রে মিশিয়ে নিতে পারেন। সবশেষে বলা যায় নেলপলিশ। যেটি মহিলাদের খুবই প্রিয় একটি মেকাপের মধ্যে পড়ে। আর নেলপালিশ ঢেকে না পড়লে বা খোলা থাকলে খুবই সহজে শুকিয়ে যায়। এ ছাড়াও বহুদিন ঘরে পড়ে থাকলেও নেলপালিশ শুকিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে নেলপালিশের শিশিতে যদি কয়েক ফোঁটা রিমুভার মিশিয়ে নাড়িয়ে নেওয়া হয় তখন নেলপালিশ আবার আগের মত নতুন ও ব্যবহারযোগ্য হয়ে ওঠে।