বিবাহ একটি বড় অঙ্গীকার এবং এতে তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়। যদি আপনি ডেটিং করছেন এবং এর উদ্দেশ্য বিবাহ করা, তাহলে নিজেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা এবং সম্পর্ককে সঠিক দিকে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত জরুরি। অনেক সময় আমরা এটি করি না এবং পরে অনুতপ্ত হই। সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ এবং লেখক জাভাল ভাট্টের মত অনুযায়ী, যদি আপনি বিবাহের উদ্দেশ্যে ডেট করেন তবে কিছু বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি। কারণ পরিষ্কার মন সুখী জীবনের চাবিকাঠি।
জাভাল ভাট্ট সম্প্রতি তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সেই বিষয়গুলোর উল্লেখ করেছেন যা আপনার বিবাহের উদ্দেশ্যে ডেটিং করার সময় মনে রাখা উচিত। ডেটিং করার সময় এই ৮ টি বিষয়ের প্রতি নজর রাখুন।
শারীরিক সম্পর্ক একটি গুরুতর বন্ধন তৈরি করে। যতক্ষণ না সম্পর্ক সম্পূর্ণভাবে সংষ্কৃত এবং স্থিতিশীল হয়, ততক্ষণ এড়িয়ে চলুন। প্রায়শই মেয়েরা আবেগের বশে এই ভুল করে। কিন্তু পরে বিবাহ না হওয়ার ক্ষেত্রে তারা নিজেদের ঠকানো বোধ করে।
কিছুটা ফ্লার্ট করা সম্পর্কে আকর্ষণ বজায় রাখে। তবে এটি অতিরিক্ত করবেন না এবং যৌন আলাপে (সেক্সটিং) জড়িত হবেন না। এটিও আপনাকে পরে অনুতপ্ত হওয়ার কারণ হতে পারে যদি সম্পর্ক নিশ্চিত না হয়।
কথোপকথনের সময় এটা ধরে নেবেন না যে সামনের ব্যক্তি আপনার জীবনসঙ্গী হতে চলেছে। অযথা হতাশ বা উৎসুক হওয়া থেকে বিরত থাকুন।
বিবাহের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য খুব কম সময় নেবেন না এবং খুব বেশিও নয়। ৩-৬ মাস সময় আদর্শ বলে বিবেচিত হয়।
১০-১২ টি ডেটের পর আপনার বাবা-মাকে কল, ভিডিও কল, অথবা ব্যক্তিগতভাবে মিলিয়ে দিন যাতে সম্পর্কের গুরুত্ব বোঝা যায়। এরপরেও সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সময় নেওয়া যেতে পারে।
শুধু টেক্সটিংয়ের পরিবর্তে ভিডিও কলে কথা বলুন। একে অপরের সাথে দেখা করা একে অপরকে বোঝার জন্য বেশি ভালো।
দূর-দূরান্তে থাকলে কমপক্ষে ৩-৬ মাসে ৮-১০ বার দেখা করুন। আবার, যদি আপনি একই শহরে থাকেন তবে প্রতি সপ্তাহে একবার দেখা করুন যাতে আপনারা একে অপরকে ভালোভাবে জানতে পারেন।
এমন ডেট পরিকল্পনা করুন যা কমপক্ষে অর্ধেক দিনের হয়। পার্ক, জাদুঘর, সমুদ্র তীর, পাহাড়, মন্দির, অথবা অন্য কোন জায়গায় সময় কাটান। এটি আপনাকে সামনের ব্যক্তিকে গভীরভাবে জানতে সাহায্য করবে।
বিবাহের জন্য ডেটিং করার সময় তাড়াহুড়ো করবেন না। সময় নিন, এই পরামর্শগুলো মেনে চলুন, এবং নিশ্চিত করুন যে আপনার সম্পর্ক গভীর বোঝাপড়া এবং সম্মানের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। মনে রাখবেন সঠিক ব্যক্তির সাথে বিবাহ করাটাই আসল সুখের চাবিকাঠি।