ভালোবাসার মিষ্টি চুমু থেকে কামোত্তেজনার চরম মুহূর্ত পর্যন্ত, শরীরী মিলন মধুর করে দিতে চকোলেট এই পৃথিবীতে অদ্বিতিয়। তাই চকোলেট ডে-তে আরও বড় সারপ্রাইজ পাওয়ার জন্য তৈরি থাকুন।
সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে ভালোবেসে উপহারে পাঠাতে পারেন চকোলেট, কারণ, ভ্যালেন্টাইনস সপ্তাহের তৃতীয় দিন, অর্থাৎ ৯ ফেব্রুয়ারি হল চকোলেট ডে (Chocolate Day) । কিন্তু, এই উপহার শুধুমাত্র বিকেলের ডেটিং-এ নয়, কাজে লাগতে পারে রাতের বিছানাতেও । কারণ, যৌন উত্তেজনা উদ্দাম করে তুলতে চকোলেটের জুড়ি মেলা ভার।
-
গরম সিরাপ বা মিশ্রণ হোক, অথবা সুস্বাদু ঠাণ্ডা আইসক্রিম, চিপসের মতো মুচমুচে হোক, কিংবা বাদাম দেওয়া বার, জিভের মধ্যে পড়লেই যা নরম হয়ে গলে গিয়ে সোজা ঢুকে পড়ে শরীরের প্রত্যেকটি ইন্দ্রিয়ের মধ্যে, তা হল চকোলেট। ভালোবাসার মিষ্টি চুমু থেকে কামোত্তেজনার চরম মুহূর্ত পর্যন্ত, শরীরী মিলন মধুর করে দিতে চকোলেট এই পৃথিবীতে অদ্বিতিয়। আজ গোটা দিনটি জুড়ে চলতে পারে তার স্বাদের উদযাপন।
চকোলেটের স্বাদের অত্যন্ত জনপ্রিয়তা আর সুনাম থাকলেও, স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অনেকেই এর বদনাম করে থাকেন। অতিরিক্ত চকোলেট ওজন বৃদ্ধি করে, ত্বকের ক্ষতি করতে পারে, ইত্যাদি বহু নেতিবাচক ফলাফল থাকলেও চকোলেট আবশ্যিকভাবে সাহায্য করতে পারে যৌন উত্তেজনায়।
অ্যাজটেক উপজাতির মানুষরা চকলেটকে রাজকীয় কামোদ্দীপক বলে মনে করতেন। কাম জাগানো থেকে শুরু করে, শরীরী মিলন ব্যাপক প্রখরতায় ভরিয়ে তুলতে এই স্বাদ ছিল অতুলনীয়। আবার, মায়ান উপজাতির মানুষরা চকোলেটকে নিজেদের উর্বরতার দেবতার সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন। অর্থাৎ, পৃথিবীতে নতুন প্রাণ আসার উৎস হল চকোলেট, এমনটাই মনে করত এই জনজাতি। চকোলেটের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক যুগে যুগে চির বিরাজমান।
চকোলেটের সঙ্গে যৌন ক্ষমতার একটি বৈজ্ঞানিক যোগাযোগ আছে। চকোলেটে থাকে ফেনাইলথাইলামাইন এবং সেরোটোনিন নামের দুটি রাসায়নিক। এগুলি মেজাজ উত্তেজনা সৃষ্টিকারী বলে পরিচিত এবং হালকা যৌন উত্তেজক বলে মনে করা হয়। সীমিত পরিমাণে চকোলেট খাওয়া অবশ্যই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো, এমনকি তা মানুষের মানসিক অবস্থাকেও উচ্ছ্বসিত করে তোলে। এর ফলে, সামান্য স্বাদ গ্রহণেই এর আস্বাদন থেমে থাকে না। তাই চকোলেট ডে-তে আরও বড় সারপ্রাইজ পাওয়ার জন্য তৈরি থাকুন।