
শাশুড়ির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে বাস্তুশাস্ত্র ও আচরণগত কিছু উপায় মেনে চলা উচিত। যেমন—দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে শাশুড়ির ঘর, উত্তর-পশ্চিম কোণে বউমার ঘর রাখা, ভাঙা বাসন বাড়িতে না রাখা, প্রতিদিন তুলসী গাছে জল ও প্রদীপ দেওয়া, ঈশ্বরের ছবি শোবার ঘরে না রাখা, এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়া বজায় রাখা, যা সম্পর্ককে মধুর ও মজবুত করে তোলে।
বাস্তুশাস্ত্রের উপায়:
১. ঘরের অবস্থান: শাশুড়ির জন্য বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকটি শুভ, কারণ এটি স্থিতিশীলতা ও সম্মান দেয়। বউমার জন্য উত্তর-পশ্চিম দিকটি ভালো, যা যোগাযোগ ও পরিবর্তনের ভারসাম্য আনে।
২. তুলসী ও প্রদীপ: প্রতিদিন সকালে তুলসী গাছে জল দিন এবং সন্ধ্যায় একটি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান, যা বাড়িতে শান্তি আনে।
৩. ভাঙা বাসন পরিহার: বাড়িতে কোনো ভাঙা বাসন বা অপ্রয়োজনীয় জিনিস রাখবেন না, কারণ এগুলো নেতিবাচক শক্তি বাড়ায়।
৪. পূজার স্থান: ঈশ্বরের ছবি বা মূর্তি শোবার ঘরে রাখবেন না, শুধু নির্দিষ্ট পূজার স্থানে রাখুন!
আচরণগত ও মনস্তাত্ত্বিক উপায়:
১. সম্মান ও ভদ্রতা: সবসময় ভদ্র ও নম্র আচরণ করুন এবং গুরুজন হিসেবে শাশুড়িকে সম্মান দিন।
২. পরামর্শ ও প্রশংসা: তাঁর পরামর্শ নিন, স্বামীর বিষয়ে তাঁর মতামতকে গুরুত্ব দিন এবং তাঁর প্রশংসা করুন।
৩. যোগাযোগ ও সময় কাটানো: নিয়মিত তাঁর সঙ্গে কথা বলুন, তাঁর পছন্দের খাবার রান্না করুন, একসাথে বসে চা পান করুন, যা বোঝাপড়া বাড়ায়।
৪. সীমা নির্ধারণ (Healthy Boundaries): নম্রভাবে নিজের ব্যক্তিগত সীমা স্পষ্ট করুন। যেমন—কাজ করার সময় হঠাৎ করে ঘরে না আসা, যা পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বাড়ায়।
৫. দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া: সংসারের কাজে তাঁকে সাহায্য করুন এবং নিজের দায়িত্ব ভাগ করে নিন।
৬. ভুল স্বীকার: ছোটখাটো ভুল হলে তা স্বীকার করুন এবং ক্ষমা চান, যা সম্পর্ককে সহজ করে তোলে।
* এই নিয়মগুলো মেনে চললে শাশুড়ি-বউমার সম্পর্ক আরও মজবুত ও মধুর হবে, যা একটি সুখী পারিবারিক পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করবে।