গবেষণায় জানা গেছে, কৃত্রিম সুগন্ধীতেই সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুরুষদের যৌন জীবন। এর পিছনে মূলত দায়ী থ্যালেট। এই থ্যালেট রাসায়নিক সুগন্ধীকে দীর্ঘস্থায়ী করে। রাসায়নিক সুগন্ধীকে দীর্ঘস্থায়ী করার পাশাপাশি কমিয়ে দেয় যৌন মিলনের সুখ।
দাম্পত্যকে শক্ত রাখতে গেলে শুধু শারীরিক নয়, মানসিকও দৈহিক দিক থেকেও পারফেক্ট হতে হবে। সঙ্গমের সময়ে সঙ্গীকে নিজের মনের মতো না পেতেই ভাটা পড়েছ সম্পর্কে। সঙ্গমের সময়ে সঙ্গীকে নিজের মনের মতো না পেতেই ভাটা পড়েছ সম্পর্কে। তাই সঙ্গীর মন পেতে অনেকেই অনেক রকম ট্রিকস কাজে লাগান। যেমন অনেকেরই ধারণা মুহূর্তের মধ্যে মন ভাল করতে এবং সম্পর্কের মধ্যে উষ্ণতা বজায় রাখতে জুড়ি মেলা ভার এই সুগন্ধীর। বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে আকর্ষণ করার অন্যতম সহজ উপায় নাকি এই সুগন্ধী। বৈজ্ঞানিক মতে,যৌন জীবনে সুগন্ধীর ভূমিকা রয়েছে। তেমনই এই সুগন্ধীর বিভিন্ন উপাদান যৌন মিলনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বডি-স্প্রে বা পারফিউম।
গবেষণায় জানা গেছে, কৃত্রিম সুগন্ধীতেই সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুরুষদের যৌন জীবন। এর পিছনে মূলত দায়ী থ্যালেট। এই থ্যালেট রাসায়নিক সুগন্ধীকে দীর্ঘস্থায়ী করে। রাসায়নিক সুগন্ধীকে দীর্ঘস্থায়ী করার পাশাপাশি কমিয়ে দেয় যৌন মিলনের সুখ। থ্যালেটের কুপ্রভাব মূলত পড়ে হরমোনের উপর। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া মাত্রই কমতে থাকে পুরুষের যৌন কামনা। এর পাশাপাশি কমতে থাকে পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট।ভবিষ্যেত পরিবার পরিকল্পনাতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় কৃত্রিম সুগন্ধী । তবে শুধু ছেলেদেরই নয়,পরিমাণে কম হলেও থ্যালেটের কু-প্রভাব মহিলাদের যৌন জীবনকেও ব্যাহত করে।
তবে শুধুমাত্র থ্যালেটই নয়, বিশেষজ্ঞরা আরও মনে করছেন যৌন সুখ কেড়ে নেওয়ার মতো আরও উপাদান থাকে এই সুগন্ধীতে। ফলে মহিলাদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে থাকে। মূলত প্রিজারভেটিভ হিসাবে কাজ করলেও মহিলা-পুরুষ উভয়ের শরীরেই ছদ্ম ইস্ট্রোজেনের ভূমিকা পালন করে। ফলে প্রকৃত হরমোনের ভারসাম্য সম্পূণর্ভাবে নষ্ট হয়ে যায়। কাম আসক্তি যেমন কমে যায় এর পাশাপাশি বাড়তে থাকে স্তন ও প্রস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা। ঘামে জমা বিভিন্ন দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী জীবাণুকে ধ্বংস করতে ট্রাইক্লোসনের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। শুধু জীবাণু ধ্বংস করেই থেমে থাকে না ওই রাসায়নিক। এর পাশাপাশি পুরুষের স্পার্ম উৎপাদনেও বাধা সৃষ্টি করে। স্পার্ম ও যৌনাঙ্গের স্বাস্থ্যহানির জন্যও দায়ী এই ট্রাইক্লোসন। একই সঙ্গেইস্ট্রোজেন, অ্যান্ড্রোজেন, থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেয়। ইস্ট্রোজেন হরমোন মূলত মহিলাদের কাম আসক্তি বাড়িয়ে তুলে যৌন মিলনকে উপভোগ্য করে। কিন্তু ছদ্ম ইস্ট্রোজেন প্রকৃত হরমোনের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। অন্যদিকে পুরুষদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের আধিক্য টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ কমায়। ফলে পুরুষের যৌন উষ্ণতাও খানিকটা প্রশমিত হয়। সুতরাং সম্পর্কের মধ্যে উষ্ণতা বজায় রাখতে জুড়ি মেলা ভার সুগন্ধীর এটা যারা মনে করতেন তারা কিন্তু সাবধান। কারণ কৃত্রিম সুগন্ধী যৌন মিলনের পথে বাঁধার সৃষ্টি করে।