সুখের সংজ্ঞা প্রত্যেকের জন্য আলাদা। বিবাহিত পুরুষরা সম্পর্কের স্থিতিশীলতা, মানসিক সমর্থন এবং সামাজিক স্বীকৃতি থেকে সুখ পান, অন্যদিকে অবিবাহিত নারীরা স্বাধীনতা, কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত উন্নতি থেকে তৃপ্তি পান।
অনেক মেয়েকেই বলতে শোনা যায়, বিয়ে না করে সিঙ্গেল থাকলেই ভালো ছিল। বিয়ের পর ছেলে হোক বা মেয়ে, দুজনেরই জীবনে পরিবর্তন আসে। তবে মেয়েদের জীবন আরও জটিল হয়ে ওঠে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে বিবাহিত পুরুষ এবং অবিবাহিত নারীরা অন্যদের তুলনায় বেশি সুখী। আসুন জেনে নেই এর পেছনের কারণ।
বিয়ে পুরুষকে একটি শক্তিশালী মানসিক সমর্থন এবং স্থিতিশীলতা দেয়। সঙ্গীর সাথে জীবনের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেয়। যার ফলে একাকীত্ব অনুভব হয় না।
এখন যদি ঘরে স্ত্রী আসে তাহলে পুরুষকে তার জীবনযাত্রার চিন্তা করতে হয় না। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছুর দিকে লক্ষ্য রাখে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা থেকে শুরু করে মানসিক চাপ কমানোর কাজ করে স্ত্রী।
বিবাহিত পুরুষ মনে করে যে পরিবারের দায়িত্ব তার উপর। তাই সে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করে না। বেশি মদ্যপান বা ধূমপান করে না। দায়িত্ব তাদেরকে আরও সতর্ক করে তোলে।
বিয়ের পর যদি দুজনই উপার্জনকারী হন, তাহলে আর্থিক স্থিতিশীলতা বেশি থাকে। এর ফলে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করা এবং আরামদায়ক জীবনযাপন করা সহজ হয়। শুধু তাই নয়, স্ত্রী কিভাবে টাকা সঞ্চয় করতে হয় সেদিকেও খেয়াল রাখে।
বিশেষ করে ভারতীয় সমাজে, বিয়ে পুরুষদের সামাজিক স্তরে সম্মান, ভালবাসা এবং সমর্থন এনে দেয়। এটি তাদের মানসিক এবং ভাবে শক্তিশালী করে তোলে।
অবিবাহিত নারীরা স্বাধীন এবং স্বাবলম্বী জীবনযাপন করে। তারা নিজের মনের মতো কাজ করে, সিদ্ধান্ত নেয়। কারও কথা শুনতে হয় না। তাদের কোনও কিছুর সাথে আপোস করতে হয় না। তাই তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।
পারিবারিক দায়িত্ব ছাড়াই, অবিবাহিত নারীরা তাদের কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত উন্নতিতে বেশি মনোযোগ দিতে পারে। তাদের স্বপ্ন পূরণ করা এবং নিজের জন্য সময় বের করা তাদের তৃপ্তি দেয়।
অবিবাহিত নারীরা তাদের বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে গভীর এবং দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলে। এই সম্পর্কগুলি তাদের মানসিক সমর্থন এবং সুখ প্রদান করে।
বিয়ে এবং সন্তানের দায়িত্ব থেকে মুক্ত থাকা, নারীদের তাদের জীবন উপভোগ করার এবং নিজের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার সুযোগ দেয়। শুধু তাই নয়, তাদের বেশি ঘরোয়া কাজও করতে হয় না। পরিবারের চিন্তা থাকে না।